কলকাতা: বেকারত্ব নিয়ে অসত্য বলছে কেন্দ্র। দাবি করলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। মুখ্যমন্ত্রীর এবং রাজ্য অর্থদপ্তরের প্রধান উপদেষ্টা অমিতবাবু সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, বেকারত্ব নিয়ে মোদি সরকারের সমীক্ষা রিপোর্ট বিভ্রান্তিকর। এই সরকার বিশ্বাস করাতে চাইছে যে, দেশে বেকারত্বের হার মাত্র ৪ শতাংশ! এদিকে বিশ্বের তাবড় অর্থনীতিবিদদের ৭০ শতাংশই মনে করেন, ভারত সরকার বেকারত্বের যে তথ্য সামনে আনে, তা যথাযথ নয়। দেশে বেকারত্বের সঙ্কটজনক পরিস্থিতি আড়াল করতেই সচেষ্ট কেন্দ্র। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সমীক্ষার উল্লেখসহ একথা জানান অমিতবাবু।
সমাজমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য, আসলে বেকার ও কাজে নিযুক্ত কর্মীর সংজ্ঞার মধ্যেই আসল চাতুরি লুকিয়ে আছে। যে শ্রমিক এবং তাঁর পরিবার কাজের শেষে মজুরি পান না, তিনিও সরকারি খাতায় একজন ‘সক্রিয় কর্মী’। অর্থাৎ তিনি ‘বেকার নন’। কোনও ব্যক্তি সপ্তাহে মাত্র এক ঘণ্টাও আর্থিক কাজে যুক্ত থাকলেই ‘কর্মী’! ফলে দেশের বেকারত্বের তালিকা থেকে তিনি বাদ!
তাহলে আসল সত্যটি কী? অমিতবাবুর দাবি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কেন্দ্রের দাবি ছিল, দেশে বেকারত্বের হার ৪.৯ শতাংশ। অথচ সিএমআইই’র হিসেবে সেবার বেকারত্বের হার ছিল ৮.০৫ শতাংশ। অর্থাৎ কেন্দ্র যা বিশ্বাস করাতে চেয়েছিল, বাস্তবে বেকারত্ব ছিল তার প্রায় দ্বিগুণ। বাস্তবে এদেশে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় চার কোটি এবং তা স্পেনের মোট জনসংখ্যার সমান। আইএলও’র তথ্য বলছে, এদেশে বেকারদের ৮৩ শতাংশই যুব। মানুষের সঙ্গে এই বিশ্বাসঘাতকতার অবসান চান অমিতবাবু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন