সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও কেন নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অযোগ্যদের সুযোগ? - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও কেন নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অযোগ্যদের সুযোগ?



কলকাতা:‌‌ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও কেন অযোগ্যদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? মঙ্গলবার এই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী পুরনো বিধি মেনে নিয়োগপ্রক্রিয়ার পরিবর্তে কেন নতুন বিধি আনা হল, মঙ্গলবার সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ। আগামী সোমবারের মধ্যে রাজ্য এবং এসএসসিকে এই বিষয়ে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ভট্টাচার্য।

দুর্নীতির অভিযোগে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পর নতুন করে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেইমতো গত ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনে আবেদনের শেষ দিন ১৪ জুলাই। পরীক্ষা, স্ক্রুটিনি, ইন্টারভিউয়ের পর আগামী ১৫ নভেম্বর প্যানেল প্রকাশ করা হবে। সেই অনুযায়ী কাউন্সেলিং হবে ২০ নভেম্বর থেকে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। এদিন সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য এবং এসএসসির উদ্দেশে বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন অযোগ্যদের নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হল? আপনাদের ৩০ মে’র বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও বলা নেই যে অযোগ্য বা দাগী চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। এই 

কথা বিজ্ঞপ্তিতে না থাকাটা ভুলের পর্যায়ে পড়ে।’ তার পরেই এ বিষয়ে রাজ্য এবং এসএসসির অবস্থান জানতে চান বিচারপতি।

মামলাকারী লুবানা পারভিনের দাবি ছিল, ৪৪ হাজার নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি ও রুল প্রকাশ করা হয়েছে, তা অবৈধ। বয়সের ছাড় থেকে অভিজ্ঞতা বাবদ নম্বর, সব ক্ষেত্রেই নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেই তাঁর দাবি। প্রসঙ্গত, এসএসসি’র আগের বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষায় ছিল ৫৫ নম্বর। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে ছিল ৩৫ নম্বর। ইন্টারভিউয়ে ক্ষেত্রে নম্বর ছিল ১০। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে থাকবে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। এখানে ২৫ নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বদলে যুক্ত করা হয়েছে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’ বাবদ নম্বর। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার উপর দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। ‘লেকচার ডেমনস্ট্রেশন’-এর জন্যও সর্বোচ্চ ১০। অর্থাৎ শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং পড়ানোর দক্ষতার জন্য অতিরিক্ত ২০ নম্বর থাকছে। ইন্টারভিউয়ের জন্য আগের মতোই ১০ নম্বর থাকছে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রেও।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...