লন্ডন: ভোটদানের ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ১৬ করা হবে। নির্বাচনী প্রচারে এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল লেবার পার্টি। কনজারভেটিভদের হারিয়ে মসনদে বসেছে কিয়ের স্টারমারের দল। তারপর একবছর কেটে গিয়েছে। এবার ভোটের ওই প্রতিশ্রুতি পূরণে তৎপর ক্ষমতাসীন সরকার। তাই ভোটদানের ন্যূনতম বয়স ১৬ করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। পার্লামেন্টের অনুমোদন পেলেই ভোটাধিকার সংক্রান্ত সংশোধনী কার্যকর হবে। বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছেন উপ প্রধানমন্ত্রী এঞ্জেলা রেনার। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে গণতন্ত্রের উপর মানুষের আস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দেশের আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে গণতন্ত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে এই পদক্ষেপ।’ বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে এঞ্জেলার পোস্ট, ‘১৬ ও ১৭ বছর বয়সিদের ভোটদানের অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুরণ করতে চলেছি। কাজ করা ও কর দেওয়ার পাশাপাশি সেনা বাবিনীতেও যুক্ত রয়েছে তরুণ সমাজ। এবার প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ওদের মতামত জানানোর সুযোগ দেওয়া উচিত।’ ১৯৬৯ সালে শেষবারের মতো ভোটদানের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করেছিল ব্রিটেন।
ভোটে জিতে আসার এক বছরের মধ্যে কার্যত খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছে লেবার পার্টি। জনপ্রিয়তা তলানিতে। মুদ্রাস্ফীতি সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে জনরোষ বাড়ছে। অন্যদিকে, সাধারণ নির্বাচনে ব্রিটেনে ভোটদানের হার অনেকটাই কমেছে। ২০২৪ সালে ভোটদানের হার ছিল ৫৯.৭ শতাংশ। গত ২৩ বছরে সর্বনিম্ন। এই পরিস্থিতিতে ভোটদানের বয়স কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে স্টারমার সরকার। একইসঙ্গে ভোটারদের পরিচয়পত্র ও রাজনৈতিক অনুদান সংক্রান্ত নিয়মেও বেশকিছু বদল আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ব্রাজিল, অস্ট্রিয়া সহ কয়েকটি রাষ্ট্রে ভোটদানের ন্যূনতম বয়স ১৬। সংসদের অনুমোদন পেলে সেই তালিকায় যুক্ত হবে রাজা তৃতীয় চার্লসের দেশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন