কলকাতা: বেঙ্গল এসটিএফের হাতে ধৃত মুন্না ওরফে আব্দুল কুদ্দুস ও শেখ মিরাজ জাল নথি তৈরিকে ব্যবসায় পরিণত করেছিল। এজেন্ট রেখে তাদের মাধ্যমে খোঁজ চলত কাদের আধার, জন্ম শংসাপত্রের দরকার। চাহিদা মতো তৈরি হতো সেসব নথি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য পেয়েছেন অফিসাররা। তাদের ইস্যু করা জাল নথি কিনেছেন এই রাজ্যসহ লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। সাইবার ক্যাফেতে বসে তারা এগুলি বানাত বলে জানা যাচ্ছে।
রবিবার বীরভুমের পারুই থেকে গ্রেপ্তার হয় মুন্না ও মিরাজ। মুন্নার মোবাইলের দোকান ও সাইবার ক্যাফে রয়েছে। তদন্তকারীরা জেনেছেন তার সাইবার ক্যাফে ছিল জাল নথি তৈরির আতুঁড়ঘর। ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, বছর খানেক ধরে তারা এই কাজ করছে। তাদের কাছে অনেকেই আসতেন জাল নথি তৈরি করার জন্য। প্রতিদিন গোছা গোছা জাল আদার, প্যান, জন্ম ও মৃত্যু শংসাপত্র তৈরির কাজ চলত। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদহসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এজেন্টরা আসত। পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে এই নথি বিক্রি করত অভিযুক্তরা। অন্যের আধার নম্বর ব্যবহার করে সেখানে খালি নাম ও ছবি পাল্টে দিত তারা। পাশাপাশি বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েতের ইস্যু করা বার্থ ও ডেথ সার্টিফিকেটের ফরম্যাট তাদের কাছে ছিল। সেটি অনুকরণ করে এই সার্টিফিকেট ইস্যু করত অভিযুক্তরা। তদন্তে উঠে আসছে, যাদের কাছে এগুলি গিয়েছে তারা সকলেই অবৈধভাবে ভারতে আসা বাংলাদেশি নাগরিক। এই নথির বিনিময়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে খবর। এগুলি নিয়ে তথ্য যাচাই চলছে। আবার এই আধারের বিনিময়ে প্রি- অ্যাক্টিভেটেড সিম ইস্যু করে তার ওটিপি পাকিস্তানে পাঠিয়েছে দুই অভিযুক্ত। কত সিম কার্ড জাল নথি দিয়ে তোলা হয়েছিল, তার তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন