লখনউ: শিশুদের হাতে জাতীয় পতাকা। প্রত্যেকের মুখে ‘বন্দে মাতরম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান। মহাকাশযান থেকে শুভাংশু বেরিয়ে আসতে এমনই চিত্র চোখে পড়ল লখনউয়ের সিটি মন্টেসরি স্কুলে। ছোটবেলায় এখানেই পড়াশোনা করেছেন ভারতীয় নভশ্চর। ছেলের ঐতিহাসিক সাফল্যে গর্বিত পরিবার। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছেলের পৃথিবীতে ফেরার প্রত্যেক মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন তাঁরা।ঘরের ছেলে ‘ঘরে’ ফিরতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল গোটা স্কুল। ত্রিস্তরীয় কেক কেটে এই বিশেষ মুহূর্ত উদযাপন করা হল। মহাকাশে পাড়ি দেওয়া, স্পেস স্টেশনে দিনযাপন থেকে শুরু করে ফিরতি যাত্রা-সবকিছুই ছিল কেকের মধ্যে।
প্রায় তিন সপ্তাহ মহাকাশে কাটিয়ে ফিরে এসেছেন শুভাংশু। ছেলের কীর্তি নিয়ে গর্বিত বাবা শম্ভুদয়াল শুক্লা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘মহাকাশে গিয়ে নিরাপদে ফিরে এসেছে শুভাংশু। গগনযানের জন্য এই অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গর্বিত। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।’ ক্যাপসুল উপকূল স্পর্শ করতেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি শুভাংশুর মা আশাদেবী। আবেগঘন কণ্ঠে তাঁর বার্তা, ‘ছেলে সুস্থভাবে ফিরে এসেছে। ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ। আপনারা সকলে এই মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন। একটু আবেগপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। ছেলে এতদিন পর ফিরল।’ দাদার সাফল্যে গর্বিত বোন সূচি। তাঁর কথায়, ‘১৮ দিন ধরে দাদার মহাকাশযাত্রা নিয়ে কত আলোচনা হয়েছে। সফল অবতরণ দেখে শান্তি পেলাম। দেশের জন্য দাদা যা করতে চেয়েছিল সেটা ও পেরেছে। এর থেকে আনন্দের আর কিছুই নেই।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন