সরকারি বাসভবন আটকে রেখেছেন দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫

সরকারি বাসভবন আটকে রেখেছেন দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়



নয়াদিল্লি: নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তারপরও সরকারি বাসভবন ছাড়েননি দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এবার ওই বাড়ি খালি করার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। চিঠিতে শীর্ষ আদালতের আর্জি, জরুরি ভিত্তিতে যেন ওই বাসভবন খালি করে দেওয়া হয়। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকেই বলছেন, এধরনের ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। যদিও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ব্যক্তিগত সমস্যার জেরেই এই বিলম্ব। দ্রুত বাড়ি ছেড়ে দেবেন তিনি।

দিল্লির ৫ নম্বর কৃষ্ণা মেনন মার্গ। এই এলাকার ‘টাইপ এইট’ বাংলোটি দেশের প্রধান বিচারপতিদের জন্য নির্দিষ্ট থাকে। ২০২২-২০২৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যম্ত প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন এখানেই ছিলেন চন্দ্রচূড়। অবসর গ্রহণের পর প্রায় আট মাস কেটে গিয়েছে। ২০২২ সালে নির্ধারিত নিয়মের ৩বি বিধি অনুযায়ী, অবসরগ্রহণের পরও ছয় মাস পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি সরকারি বাসভবনে থাকতে পারেন। সেই সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এখনও ওই সরকারি বাসভবনেই রয়েছেন তিনি। এজন্য গত ১ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চিঠিতে বলা হয়েছে, আগে ওই বাসভবনে আরও কিছুদিন থেকে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন চন্দ্রচূড়। সেই আবেদনে অনুমোদনের মেয়াদও গত ৩১ মে শেষ হয়েছে।  তাই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি যাতে দ্রুত বাংলোটি খালি করে দেন, কেন্দ্রে কাছে সেই আবেদন জানানো হয়েছে। 

এনিয়ে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার দুই কন্যা অসুস্থ। তাদের চিকিৎসা চলছে। এইমুহূর্তে তাঁদের ঘরের বড্ড প্রয়োজন। তাই বাধ্য হয়ে থাকতে হয়েছে। ঘরের সন্ধানে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছি। বিভিন্ন সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট ও হোটেলেও চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এনিয়ে শীর্ষ আদালতের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেছি। ইতিমধ্যে সরকারের তরফে সীমিত সময়ের জন্য ভাড়ায় থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেই বাড়িতে কেউ থাকত না। তাই বাড়িটির মেরামতের কাজ চলছে। আমার অধিকাংশ জিনিসপত্র গোছানো হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র কয়েকদিনের ব্যাপার। ওই বাড়িটি প্রস্তুত হয়ে গেলেই চলে যাব। বাড়তি দিন থাকার ক্ষেত্রে কোনওভাবেই আগ্রহী নই আমি। কিন্তু এইমুহূর্তে আমার কাছে আর কোনও বিকল্প পথ নেই। -

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...