বাঁকুড়া: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে গৃহ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হলে দেওয়ালে লোগো আঁকা হবে। শিল্পী ওই লোগো নবনির্মিত বাড়ির দেওয়ালে এঁকে দেবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় জেলায় ওই বিশেষ লোগো পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোলাকৃতি ওই লোগোর বাইরে ও ভিতরের দিকে বড় বড় করে লেখা আছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্পূর্ণ নিখরচায় বাংলার বাড়ি গ্রামীণ’। লোগোর মধ্যে একটি বাড়ি ও গাছপালার ছবিও রয়েছে। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর নীল, সবুজ ও কালো রং লোগোর জন্য ব্যবহার করা হবে। লোগোর ঠিক নীচে লেখা হবে উপভোক্তার নাম ও আইডি নম্বর। বাঁকুড়ার প্রায় ৭৩ হাজার বাড়িতে ওই লোগো আঁকা হবে। তারজন্য জেলা প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যে ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) তথা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রোহন লক্ষ্মীকান্ত যোশী বলেন, আমরা লোগো পেয়েছি। তা বাড়ির দেওয়ালে আঁকার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ নির্দেশ (এসওপি) দেওয়া হয়েছে। সেই মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় তৈরি বাড়িতে উপভোক্তা ও তহবিল সংক্রান্ত তথ্য লেখার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার একবার নির্দেশ দিয়েছিল। ওইসময় গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে তৈরি বাড়িতে বাংলার আবাস যোজনা লেখা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। তারপর কেন্দ্র বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়। রাজ্য সরকার নিজের টাকায় বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে। দু’দফায় রাজ্যের তরফে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে উপভোক্তাদের দেওয়া হয়েছে। কেউ নিজ বাড়িতে শৌচালয় নির্মাণ করলে তারজন্যও অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। তবে উপভোক্তাদের নিজেদের টাকায় শৌচালয় আগাম তৈরি করে তা প্রশাসনকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে বাড়ির মতো টাকা পাওয়ার পর কাজ করার কোনও অবকাশ নেই।
বর্ষা শুরু হয়ে গেলেও বাঁকুড়ায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কাজ কিছুটা বাকি রয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় ৯০ শতাংশের বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। যেসব ব্লকে কাজ বাকি রয়েছে, সেখানে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। বিডিওদের এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা কার্যত রোজই তাগাদা দিচ্ছেন। বর্ষার মরশুমে বালি সহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর জোগানে সমস্যা হতে পারে। বৃষ্টিতে সিমেন্ট জমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিকও পাওয়া যায় না। ফলে ওইসময় উপভোক্তারা কাজ করাতে পারবেন না। যাঁরা কাঁচা বাড়ি ভেঙে নতুন করে করছেন, তাঁরা বর্ষার বৃষ্টিতে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। অনেকেই বর্তমানে ত্রিপল টাঙিয়ে বাস করছেন। অবিলম্বে ওইসব বাড়ির কাজ যাতে সম্পূর্ণ হয়, তা দেখা হচ্ছে বলে প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন