বেঙ্গালুরু: কর্ণাটক কংগ্রেসে ক্ষমতা নিয়ে টানাপোড়েন চলছেই। সিদ্ধারামাইয়াকে সরিয়ে উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে দলের অন্দরে। এই আবহেই সিদ্ধারামাইয়ার দাবি, পাঁচ বছর তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচ বছর আমিই মুখ্যমন্ত্রী থাকব। ২ জুলাই তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছি। ডি কে শিবকুমারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’ শুধু হাত শিবির নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত কর্ণাটক বিজেপিও। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা ও তাঁর পুত্র বি ওয়াই বিজয়েন্দ্রর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন দলেরই একাংশ। বিক্ষুব্ধদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী অরবিন্দ লিম্বাভল্লি সহ একাধিক নেতা। বিজেপি রাজ্যসভাপতি বিজয়েন্দ্রর বিরুদ্দে স্বজনপোষণের অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
সম্প্রতি প্রাক্তন সাংসদ জি এম সিদ্ধেশ্বরের জন্মদিন উদযাপনে অনুপস্থিত ছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। বিষয়টি মোটেই ভালো চোখে দেখেননি লিম্বাভল্লি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আচরণকে ‘অন্যায্য’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। বিজেপি নেতার কথায়, ‘কংগ্রেস আর জেডিএসের হাত ধরার চেষ্টা করেছেন ইয়েদুরাপ্পা।’ আর এক বিদ্রোহী নেতার তোপ, ‘দরজার আড়ালে থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজয়েন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে দলে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
এরইমধ্যে কংগ্রেসের অন্দরেও টানাপোড়েনে বিরতি নেই। এব্যাপারে সিদ্ধারামাইয়া বলেছেন, ‘শিবকুমার একজন পদপ্রার্থী। এতে ভুল কিছু নেই। তবে তিনি নিজেই বলেছেন যে আসন এখন খালি নেই।’ দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব মেটাতে গত সপ্তাহে রণদীপ সুরজেওয়ালাকে পাঠিয়েছিল হাত শিবির। তখনই জল্পনা ছড়িয়েছিল, সিদ্ধারামাইয়াকে ক্ষমতা ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে হাই কমান্ড। এবিষয়ে কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, ‘আড়াই বছর পর ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত কখনই নেওয়া হয়নি। মল্লিকার্জুন খাড়্গে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে হাই কমান্ডের নির্দেশেই দল চলবে। শীর্ষ নেতৃত্ব যা বলবে তাই মানব। শিবকুমারকেও সেটাই করতে হবে। কয়েকজন বিধায়ক ওঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে সংখ্যাটা খুব বেশি নয়।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন