আমেদাবাদ: একটা সেলফি। ছবিতে পাঁচজন। প্রত্যেকের চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। কিন্তু ওটাই তাঁদের শেষ ছবি। অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের যাত্রী ডাঃ প্রতীক জোশির তোলা পরিবারের সঙ্গে সেই নিজস্বী দেখেই আবেগে ভাসছেন সবাই। পেশায় চিকিৎসক প্রতীক লন্ডনের বাসিন্দা। স্ত্রী কোনি ব্যাস একই পেশার মানুষ। কিছুদিন আগে অবধি রাজস্থানের এক বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে চাকরি ছেড়েছিলেন সদ্যই। ভেবেছিলেন লন্ডনে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে নতুন করে জীবন শুরু করবেন। সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল। বৃহস্পতিবারের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় এই চিকিৎসক দম্পতি ও তাঁদের তিন সন্তানও ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ কাহের জহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজের(কর্নাটক) শিক্ষকরা। এই কলেজ থেকেই ডাক্তারি পাস করেছিলেন প্রতীক।
ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল আরও অনেক পরিবার ও পরিবার। কাছের মানুষটা আর বেঁচে নেই, এই কঠিন সত্যি অনেকেই মেনে নিয়েছেন। কিন্তু শেষবারের মতো মৃতদেহটাও দেখতে না পাওয়ার যন্ত্রণা মানতে পারছেন না অনেকেই। শুধু পরিবার কেন, শোকে পাথর ভদোদরার এক গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দা। গ্রামের সবথেকে হাসিখুশি অঞ্জু আর ফিরবেন না। অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চড়ে লন্ডনে যাচ্ছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে। পথেই সব শেষ। বাবাকে সারপ্রাইজ দিতে দেশে এসেছিলেন লন্ডনের ডাক্তারি পড়ুয়া দীপাংশী। ছুটি কাটিয়ে লন্ডন ফিরছিলেন ওই বিমানেই। এমনই আরও অনেকের জীবনের ছোটখাটো স্বপ্ন, ইচ্ছে বিলীন হয়ে গেল আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন