বেঙ্গালুরু: হস্টেলে মধ্যাহ্নভোজ সারতে বসেছিলেন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। সেই সময়েই আছড়ে পড়ে বিমানটি। প্রাণ হারান বহু ডাক্তারি পড়ুয়া। সরকারি সূত্রে বৃহস্পতিবার রাতেই জানিয়ে দেওয়া হয়, টেক অফের পর লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি যখন ভেঙে পড়ে, তখন দুর্ঘটনাস্থলের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস! বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ তো দূর, এলাকার কুকুর বা পাখিরও পালানোর পথ ছিল না। আগুনের লেলিহান শিখা ও অত্যাধিক তাপমাত্রা ঘটনাস্থলের সব প্রাণকেই গ্রাস করে। তীব্র তাপমাত্রার কারণে দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, বিমানে ১ লক্ষ ২৫ হাজার লিটার জ্বালানি ছিল। তাই বিস্ফোরণের পর কাউকে বাঁচানো সম্ভব ছিল না। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এসডিআরএফ)-এর এক অফিসার বলেন, বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল ও চিকিৎসকদের কোয়ার্টারের উপর বিমান ভেঙে পড়ার পর আড়াইটে নাগাদ অকুস্থলে উদ্ধারকাজ শুরু করা সম্ভব হয়। দমকলের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানান, দুর্ঘটনার পরই তাপমাত্রা এতটা বেড়ে গিয়েছিল যে, সেই মুহূর্তে এলাকায় উপস্থিত কারও পক্ষেই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। ২০১৭ সালে এসডিআরএফে যোগদানকারী এক কর্মী জানান, চাকরি জীবনে এরকম বিপর্যয় তিনি আগে দেখেননি। উদ্ধারকাজ শুরুর সময় দুর্ঘটনাস্থলের তাপমাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, তাঁদের প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে একে একে বের করে আনা হয় মানুষের দেহাংশ। সে দৃশ্য শিউরে ওঠার মতো। জ্বলন্ত আগুনে মানবশরীর যে মুহূর্তে এভাবে কাঠকয়লার মতো হয়ে যেতে পারে, তা নিজের চোখে দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। দেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষাই ভরসা বলে জানিয়েছেন এসডিআরএফের আধিকারিকরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন