ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের জের ভারতে তেলের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের জের ভারতে তেলের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা



 

নয়াদিল্লি: ইরান-ইজরায়েলের সামরিক উত্তেজনায় বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ল অপরিশোধিত তেলের দাম। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ৭৮ ডলার ছুঁয়েছে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম। ফলত জ্বালানি তেলের দামও অনেকটাই বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। এই পরিস্থিতি ভারতের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে  বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।  ইরান বিশ্বের অন্যতম তেল রপ্তানিকারক দেশ। ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে এখান থেকেই তেল সরবরাহ করা হয়। আর সেক্ষেত্রে মূল পথ হিসেবে ব্যবহার করা হয় হরমুজ প্রণালীকে। বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের প্রায় ২০ শতাংশ সরবরাহ করা হয় এই অঞ্চল দিয়ে। 

ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে এই অঞ্চলে জাহাজ চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এর জেরে ভারতে তেল সরবরাহ বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের আমদানি করা তেলের দুই-তৃতীয়াংশ এখান দিয়েই আসে। তাই সরবরাহে সমস্যা দেখা দিলে দেশজুড়ে ফের বাড়বে তেলের দাম। গত দু’দিনেই তেলের দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ। সংঘাত চলতে থাকলে ব্রেন্টের অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল পিছু ১০০-১২০ ডলার হতে পারে। 


এর আগেও যখন দুই দেশের সংঘাত মারাত্মক আকার নিয়েছিল, তখন একইভাবে তেলের দাম বেড়েছিল। তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল দেশের অর্থনীতিতে। অবিলম্বে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আবারও একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে ভারতকে। সংঘাত যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে সাধারণ মানুষের উপর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে। রাতারাতি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। প্রভাব পড়বে শেয়ার বাজারেও। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা অর্থনৈতিক সমস্যা হতে পারে। টাকার দাম আরও পড়ার আশঙ্কা থাকছে। তবে শুধু ভারতই নয়, ইরান এই কাজ করলে সমস্যা পড়বে বিশ্বের বহু দেশই। এর মধ্যে রয়েছে বন্ধু চীনও। কারণ চীন তার তেলের জন্য ইরানের উপর নির্ভরশীল। তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইরান ওই প্রণালী বন্ধ করতে পারবে না। অতীতেও দেখা গিয়েছিল, ইরান ওই হরমুজ স্ট্রেইট নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা চরম পদক্ষেপ থেকে সরে আসে।সৌদি আরব বা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকেও তেল আমদানিতে সমস্যা হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...