আমেদাবাদ: চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দগ্ধ দেহ। রক্ত। বিমানের ধ্বংসাবশেষ। বাতাসে পোড়া গন্ধ। মৃত্যুপুরী থেকে একাই হেঁটে বেরিয়েছিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। সিট নম্বর ‘১১এ’। বাকিটা রহস্য, অবিশ্বাস্য, কল্পনাতীত। তবুও কৌতূহলের অন্ত নেই। কীভাবে বেঁচে ফিরলেন তিনি? ঠিক কী ঘটেছিল সেই মুহূর্তে? শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দেখা করে একই প্রশ্ন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। আমেদাবাদের হাসপাতালের শুয়ে সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন বিশ্বাস কুমার। তাঁর কথায়, জানি না কীভাবে বেঁচে ফিরলাম। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। চোখ খুলে দেখি সামনে ফাঁকা জায়গা। সিটবেল্টটা কোনওরকমে খুলে দৌড়ে বেরিয়ে আসি।
বিশ্বাস কুমারের কথায়, ‘বিমান আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা প্রবল ঝাঁকুনি। সঙ্গে সঙ্গে একটা বিকট আওয়াজ। আর মুহূর্তে সব শেষ। আমার চোখের সামনেই সবটা ঘটেছিল। আশপাশে শুধু মৃতদেহ। মনে হচ্ছিল আমিও মরে যাব। আচমকা চোখ খোলে। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ভেঙে যাওয়া সিটের বেল্ট খুলে বেরিয়ে আসি। আমার বাঁ হাত একটু পুড়ে গিয়েছে।’
‘লাকি নম্বর ১১ এ’। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-র এই সিট নম্বর ঘিরে এখন চর্চা তুঙ্গে। সিট ম্যাপ অনুযায়ী, বিমানের ইকোনমি ক্লাসের প্রথম সারির ছটি সিটের মধ্যে একটি হল এই ১১ এ। ইমার্জেন্সি এগজিটের কাছে জানালার এই সিটই প্রাণ বাঁচাল বিশ্বাসকুমারের। তাঁর কথায়, ‘আমি যেদিকে পড়েছিলাম, সেদিকটা হস্টেলের গ্রাউন্ড ফ্লোর ছিল। পাশে কিছুটা ফাঁকা জায়গাও ছিল। বোধহয় তাই বেঁচে গিয়েছি। ওদিক দিয়েই বাইরে বেরিয়ে আসি। উল্টোদিকে হস্টেলের দেওয়াল ছিল। ওপাশে হয়তো কেউ বেরতেই পারেনি।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন