কিয়েভ: ইরান-ইজরায়েল সংঘাত ঘিরে উদ্বেগে গোটা বিশ্ব। তারইমধ্যে রুশ হামলায় ফের জ্বলে উঠল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। সেখানে সোমবার রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারাল কমপক্ষে ১৫ জন। আহত শতাধিক। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৬২ বছরের এক মার্কিন নাগরিক। রাশিয়া ইউক্রেনের শতাধিক ড্রোন ধ্বংসের দাবিও করেছে।
উল্লেখ্য, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এরইমধ্যে সোমবার রাতে কিয়েভে একের পর এক আছড়ে বোমারু ড্রোন এবং এক ডজনের বেশি মিসাইল। ইউক্রেনের রাজধানীর অন্তত ২৭টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে সেগুলি। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে হামলা চালায় রুশ সেনা। মূলত বহুতল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ ভবনকে টার্গেট করা হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দাবি, রাতে অন্তত ৪৪০টি ড্রোন এবং ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। কিয়েভের কাছে সোলোমিয়ানস্কি জেলায় ৯ তলা ভবন লক্ষ্য করে একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে রাশিয়া। বহুতলের ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
রাতে শহরে সাইরেন বেজে উঠতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। তাঁরা প্রাণভয়ে ভুগর্ভস্থ রেলস্টেশন সহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে লুকিয়ে পড়েন। কিয়েভের মেয়র ভিতালি কিল্টসকো বলেন, নিহত মার্কিন নাগরিক কিয়েভের শ্রপনেলে থাকতেন। ড্রোন হামলায় তিনি গুরুতর জখম হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। রুশ আক্রমণের পাল্টা জবাব দেয় ইউক্রেন সেনা। রশিয়ার বেশ কিছুটা ভিতরে ঢুকে ইউক্রেনের ড্রোন গুলি চালায়। তবে রাশিয়ার বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রুশ সেনার দাবি, ইউক্রেনের ১৪৭টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। কিয়েভে সাধারণ নাগরিকদের উপর রুশ হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে তুলনা করেছেন জেলেনস্কি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন