নয়াদিল্লি ও আমেদাবাদ: আতঙ্কের ৩২ সেকেন্ড। ওড়ার পর মুহূর্তের মধ্যেই আছড়ে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ বিমানটি। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। উদ্ধার হয়েছে ব্ল্যাকবক্সও। তারই মধ্যে এবার সামনে আসছে নয়া এক তথ্য। ১২ জুন বিমান ভেঙে পড়ার আরও সুস্পষ্ট অডিও ও ভিডিও সামনে এসেছে।
তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, বিমানটি যখন দ্রুত নীচের দিকে নেমে আসতে শুরু করে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে গিয়েছিল র্যাম এয়ার টার্বাইন বা ‘র্যাট’। এটি একটি ছোট প্রপেলারের মতো যন্ত্র। ড্রিমলাইনার বিমানের ডুয়াল ইঞ্জিন বিভ্রাট অথবা ইলেক্ট্রনিক বা হাইড্রলিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিগড়ে গেলে নিজে থেকেই এই ‘র্যাট’ প্রপেলার চালু হয়ে যায়। আমেমেদাবাদের দুর্ঘটনার আগেও ঠিক তেমনটাই হয়েছিল বলে মনে করছেন উড়ান বিশেষজ্ঞরা।
নতুন যেসব অডিও-ভিডিও সামনে আসছে তাতে বিমানের ইঞ্জিন চালু থাকার প্রচণ্ড শব্দ শোনা যাচ্ছে না। বরং ‘র্যাট’ চালু হওয়ার পর সাধারণত যে ধরনের শব্দ তৈরি হয়, তেমনটাই শোনা যাচ্ছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে নিজে থেকেই চালু হয়ে যাওয়া ‘র্যাট’ সাধারণ বায়ুর গতিকে ব্যবহার করে বিমানের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। আমেদাবাদে ভেঙে পড়া বিমানেও ‘র্যাট’ চালু হওয়ায় তিনটি সম্ভাব্য পরিস্থিতির ইঙ্গিত মিলছে। প্রতমত দু’টি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে পড়েছিল। দ্বিতীয়ত ইলেক্ট্রনিক ব্যবস্থা বিগড়ে গিয়েছিল এবং তৃতীয়ত হাইড্রলিক সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
ভারতীয় বায়ুসেনার প্রবীণ পাইলট তথা উড়ান বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন এহসান খালিদ বলেন, ঘটনার দিন থেকে প্রায় সবাই অনুমান করে আসছেন, বিমানটির দু’টি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে গিয়েছিল। আমারও তেমনটাই অনুমান ছিল। কিন্তু একইসঙ্গে দু’টি ইঞ্জিনেই পাখির ধাক্কা প্রায় অসম্ভব। এই অবস্থায় একমাত্র জীবিত যাত্রী বলেছেন, তিনি বিশেষ এক ধরনের শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। সম্ভবত সেটি ‘র্যাট’ চালু হওয়ার শব্দ। প্রপেলারের গতির শব্দ। বেঁচে ফেরা ওই যাত্রী জানিয়েছেন, তিনি লাল ও নীল আলো দেখেছেন। সম্ভবত আপৎকালীন বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর ইমার্জেন্সি লাইটগুলি জ্বলে উঠেছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন