কাকদ্বীপ: বাজারে এল এই মরশুমের প্রথম ইলিশ। সোমবার রাত পর্যন্ত একদিনের ‘ফিশিং’ বা মাছ ধরা থেকে প্রায় ৫০ টন ইলিশ বাজারে এসেছে। নামখানার খেয়াঘাটে প্রায় ৪০টি ট্রলার ইলিশ নিয়ে সমুদ্র থেকে ফিরছে। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ট্রলারগুলি ভালো ইলিশ মাছ পেয়েছে। ধীরে ধীরে আরও ট্রলার সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ঘাটের দিকে ফিরছে।
এ বিষয়ে এক মৎস্যজীবী নারায়ণ দাস বলেন, দীর্ঘ দু’মাস ধরে নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ১৪ জুন সেই নিষেধাজ্ঞা উঠেছে। এরপর সেদিন গভীর রাত থেকেই সুন্দরবন অঞ্চলের প্রায় ৪০ শতাংশ ট্রলার ইলিশ মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল। আর একদিনের মধ্যেই বেশ কয়েকটি ট্রলার ভালো ইলিশ মাছ পেয়েছে। মাছের সাইজও ভালো। বেশিরভাগ ইলিশ মাছ ৬০০ গ্রাম থেকে এক কিলো ওজনের মধ্যে রয়েছে। প্রথম ইলিশ বাজারে আসায় ভালো দামও পাওয়া গিয়েছে।
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ফিরে আসা ট্রলারগুলি এক থেকে দেড় টন করে ইলিশ মাছ পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। আবহাওয়া যদি এরকমই থাকে, তাহলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণের ইলিশ মাছ আসার সম্ভাবনা। এদিন পাইকারি বাজারে ৫০০ গ্রাম ইলিশ ৮০০ টাকা, ৬০০ গ্রাম ৯০০ টাকা ও ৭০০ গ্রাম এক হাজার টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে। প্রথমের দিকে বলে দাম একটু বেশি রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ বাজারে চলে এলে দাম অনেকটাই কমে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন