বালুরঘাট: আত্রেয়ী নদী থেকে বালিপাচার রুখতে তৎপর হল বালুরঘাট থানা। বালুরঘাট ব্লকের বেশকিছু নদীর চরে এবার থেকে ২৪ ঘণ্টা সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিস মোতায়েন থাকবে।
সম্প্রতি চর দখলে বালি মাফিয়ারা নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। কার দখলে থাকবে নদীর চর, তা নিয়ে লড়াইয়ে কয়েকমাস আগে কয়েকজন জখম হয়।
তাছাড়াও ব্যাপক রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়ছে সরকার। তাই চুরি রুখতে ভূমি দপ্তরের পাশাপাশি সরাসরি নজরদারি চালাচ্ছে পুলিস। এবিষয়ে বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, বেশকিছু বালির চরে সিভিক ও পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। বিষয়টির উপর নজরদারি চলছে।
পুলিস সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে বালুরঘাটের রাজাপুরে বালির চর দখলে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। মারপিটে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ওই সংঘর্ষ সামাল দিতে হয় পুলিসকে। শুধু তাই নয়, বালি চুরি রুখতে ভূমি দপ্তর অভিযানে গেলে আধিকারিকদেরও হেনস্তা করা হয়। গাড়ি আটকে অনেক সময় বিক্ষোভ এমনকী ভূমি দপ্তরের আধিকারিকদের গায়ে হাত তোলা হয়। এনিয়ে গত এক বছর ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। ফলে পুলিসের তরফে এই নজরদারি শুরু হয়েছে। বর্তমানে বালুরঘাটের কালিকাপুর, ফতেপুর, চকহরিনা ও ডাঙ্গিতে নদীর চরে সিভিক ও পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও বালুরঘাটের পাগলিগঞ্জ, ফুলঘরা, ডাকরা, চকভৃগু, সহ অনেক চরে ব্যাপক নজরদারি শুরু করেছে পুলিস। বালির গাড়ি দেখলেই অভিযান চলছে।
বালুরঘাটের আত্রেয়ীর চরগুলি লিজ দেওয়া হয়। সরকারকে নির্দিষ্ট রাজস্ব দিয়ে চর কেনা হয়। সেইমতো চরগুলি থেকে রাজস্ব আদায় চলে। কিন্তু দু’বছর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নদীগুলির চরের লিজ হয়নি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য থেকেই ওই লিজ দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও তার আগে বালি পাচার করে মাফিয়াদের লাভ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। বালুরঘাটের আত্রেয়ীর যেখানে সেখানে বালি তুলছে চোরাকারবারিরা। ভূমি দপ্তর রোজ অভিযান চালাচ্ছে। কিছু ট্রাক্টর, ট্রলি প্রত্যেকদিন আটক করা হলেও অধরা থেকে যাচ্ছে অনেক। নদীর চরে অভিযানের আগে ইনফর্মারদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পালাচ্ছে মাফিয়ারা। তাই একেবারে যাতে নদীর চরে ট্রাক্টর নামতে না পারে, তার জন্য পুলিস মোতায়েন বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন