শুক্রবার সকালে পাথরপ্রতিমার দিকে রওনা দেবে ট্রলার। বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি জি-প্লটের ঘাটে গিয়ে একদিন অপেক্ষা। শনিবার গভীর রাতে ইলিশ ধরতে গভীর সমুদ্রে রওনা। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন মাছের প্রজনন কাল। ফলে এই দু’মাস নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে। এ সময়ে কোনও ট্রলার নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় না। মৎস্যজীবীরা জানান, গত তিন বছর ধরে নদী ও সমুদ্রে সেভাবে ইলিশের দেখা মেলেনি। আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় এই সমস্যা। এ বছর আগেই বৃষ্টি এসেছে। তাই ইলিশ মেলার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। রবিন দাস নামে এক মৎস্যজীবী বলেন, ‘এবছর বাংলাদেশ ও ভারতে একই সময়ে নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। তাই আশা, এবার পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ মিলবে।’ কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘এবছর প্রথম পর্যায়ে ৪০ শতাংশ ট্রলার মাছ ধরার উদ্দেশে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেবে। মাছ ভালো পাওয়া গেলে পরে বাকি ট্রলারগুলিও যাবে।’
কাকদ্বীপ: প্রস্তুতি প্রায় শেষ। সুন্দরবন থেকে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় কয়েক হাজার ট্রলার। একদিন বাদেই ইলিশের খোঁজে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিতে চলেছে ট্রলারগুলি। এখন মৎস্যবন্দরগুলিতে চরম ব্যস্ততা। ট্রলারে ডিজেল ভরা হচ্ছে। বরফ মজুত হচ্ছে। মাছ ধরার জাল পরিপাটি করে গুছিয়ে রেখে দেওয়া চলছে ট্রলারের পাটাতনে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন