নয়াদিল্লি: আমেদাবাদে বিমান বিপর্যয়ের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। উঠে আসছে নানা তত্ত্ব। এখনও পুরোদমে চলছে উদ্ধারকাজ। তার মধ্যেই মিলল দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স। দুর্ঘটনার আগে ঠিক কী হয়েছিল, সেই রহস্য উদ্ঘাটনে দ্বিতীয় এই ব্ল্যাক বক্স অনেকটাই কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, দুর্ঘটনার কারণ পর্যালোচনা করতে সোমবার আমেদাবাদে পৌঁছলেন বোয়িংয়ের বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, বিমানের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডারের তথ্য খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। পাশাপাশি, কারিগরি ত্রুটি, রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত অসঙ্গতি বা পাইলটের কোনও সিদ্ধান্তে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, তাও খতিয়ে দেখবেন বিশেষজ্ঞরা।
দুর্ঘটনার পরের দিনই ডাক্তারদের হস্টেলের ছাদ থেকে প্রথম ব্ল্যাক্স বক্সটি উদ্ধার করা হয়েছিল। তার চার দিনের মধ্যেই মিলল দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি। যা ‘ককপিট ভয়েস রেকর্ডার’ নামেও পরিচিত। উদ্ধারকারী দলের আধিকারিকদের মতে, দু’টি ব্ল্যাক বক্স থেকে প্রাপ্ত সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। তার পরেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বি জে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বিমানে কী কী হয়েছিল, সেই সম্পর্কিত তথ্যও মিলবে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, এদিন উদ্ধার হওয়া ককপিট ভয়েস রেকর্ডারটি কার্যত পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে। যেভাবে সিভিআরটি পুড়ে গিয়েছে, তা থেকে কতটা তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
দুর্ঘটনার আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বিমানচালক। মেডে বার্তাও পাঠিয়েছিলেন। তার পরেই যাবতীয় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। শোনা যায়, নো পাওয়ার, নো থ্রাস্ট। তার পরেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নীচের দিকে নামতে শুরু করে বিমানটি। উদ্ধার হওয়া ‘ককপিট ভয়েস রেকর্ডার’ থেকে এ সংক্রান্ত আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, গত রবিবার আমেদাবাদের দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি কে মিশ্রা। সিভল হাসপাতালে গিয়ে জখমদের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। এদিন ‘ককপিট ভয়েস রেকর্ডার’ উদ্ধারের বিষয়টি তাঁকেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন