শ্রীনগর: বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পরে থেকেই উত্তপ্ত পশ্চিম এশিয়া। প্রতি মুহূর্তে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে মাটি। সাইরেনের শব্দে মুখরিত আকাশ। তেহরানে ডেস্কের তলায় লুকিয়ে আসন্ন বিপদ থেকে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন নাজিমা। জম্মু-কাশ্মীরের এই এমবিবিএস পড়ুয়ার কথায়, ‘এই পরিস্থিতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। শুধু বিস্ফোরণের আর মানুষের হাহাকার শোনা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন সব শেষ হয়ে যাবে।’ ২০২২ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে এনেছিল কেন্দ্র। সৌজন্যে ‘অপারেশন গঙ্গা’। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনই অভিযানের আর্জি জানাচ্ছেন ইরানের ভারতীয় পড়ুয়ারা।
যুদ্ধ আবহে ইরানে আটকে রয়েছেন কমপক্ষে দেড় হাজার কাশ্মিরী পড়ুয়া। অনেকেই সেখানে এমবিবিএস করছেন। নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে বাড়িঘর। মীর মুবাশির নামে এক পড়ুয়ার কথায়, ‘ইরানের একাধিক শহরকে নিশানা করেছে ইজরায়েলি ফৌজ। এখনও অক্ষত রয়েছি। তবে নিরাপত্তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করা উচিত। যেমন ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ে হয়েছিল।’
শুধু তেহরান নয়। কাশ্মীরেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পড়ুয়াদের পরিবার। বারমুলায় একটি ছোট বাড়িতে থাকেন আবদুল কাদির। ছেলে তেহরানে পড়াশোনা করছে। সেখান থেকে ভিডিও কল আসতেই দু’হাতে চেপে ধরলেন মোবাইল। জানলেন সন্তানের হাল হকিকত। আবদুল বলেন, ‘ছেলে জানিয়েছে বাজার বন্ধ। স্থানীয় প্রশাসন খাবার মজুত রাখতে বলেছে। ইরানের বসতিপূর্ণ এলাকায় হামলার খবর খুবই দুঃখের। কেন্দ্রের কাছে পড়ুয়াদের দ্রুত উদ্ধারের আর্জি জানাচ্ছি।’ ইতিমধ্যে ইরানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সতর্ক থাকার আর্জি জানিয়েছে সেখানকার দূতাবাস। বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন