নয়াদিল্লি: পেশায় ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট। নেশা সোশ্যাল মিডিয়া। ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন রোশনি। পুরো নাম রোশনি সোনঘারে। ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যা ৭৩ হাজারের বেশি। বাড়ি হোক কিংবা কর্মস্থল—সর্বত্রই হাসি মুখে সবটা সামলাতেন। আগামী বছর বিয়েরও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, আমেবাদাবাদের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা সব স্বপ্নেই মৃত্যুর কালো চাদর ঢেকে দিল। এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত বিমানে ছিলেন তিনি। কিন্তু, যাত্রা শুরু কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব শেষ।
মুম্বইয়ের ডোম্বিভালির রাজাজি পথের বাড়িতে বাবা রাজেন্দ্র, মা শোভা আর ছোট ভাই ভিগনেশের সঙ্গে থাকতেন ২৬ বছরের রোশনি। ছোটবেলা থেকেই আকাশে ওড়ার শখ। সেকারণেই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের কোর্স করেছিলেন। তারপর একটি বিমান পরিবহণ সংস্থার হাত ধরে কেরিয়ার শুরু। পরে যোগ দেন এয়ার ইন্ডিয়ায়। বৃহস্পতিবার আমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বিমানে অ্যাসাইনমেন্ট পেয়ে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন। কে জানত, সেটাই তাঁর শেষ ফ্লাইট হবে?
সন্তান হারিয়ে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই রোশনির বাবা-মা। ভেঙে পড়েছেন ছোটভাইও। এক আত্মীয় বলছেন, বাড়ির প্রাণস্পন্দন ছিল রোশনি। চলতি বছরের নভেম্বরে মার্চেন্ট নেভির এক অফিসারের সঙ্গে বাগদান হওয়ার কথা ছিল। বিয়ে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা ছিল রোশনির। বিমান দুর্ঘটনার খবরে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে পরিবার। প্রথমটা বিশ্বাসই হচ্ছিল না। খবর পেয়েই ওকে বারবার ফোন করেন বাবা-মা। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। রোশনি হারিয়ে শোকের অন্ধকারে পরিবার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন