থাইল্যান্ড: ২৭ বছর আগের ঘটনা। এ জীবনে ভোলার নয়। তবু আবছা হয়েছিল স্মৃতি। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল সবকিছু। হঠাৎ সবটা মনে পড়ল নতুন করে। সেই আগুন, সেই চিৎকার, ধোঁয়া, আওয়াজ সবকিছু। নেপথ্যে আমেদবাদের বিমান দুর্ঘটনা। মাত্র ২০ বছর বয়সে এমনই এক বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী ছিলেন থাইল্যান্ডের গায়ক-অভিনেতা রুয়াংসাক। অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরেছিলেন। অনেকটা আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার জীবিত যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশের মতো। তবে স্রেফ এইটুকু মিল নয় দু’জনের। আরও একটা মিল রয়েছে, যা অবাক করার মতোই।
আমেদাবাদ দুর্ঘটনার পর থেকে চর্চায় বিমানের ১১এ সিট। এই আসনেই বসেছিলেন বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত বিশ্বাস রমেশ। ওই সিটটিকে অলৌকিক বলেও মনে করছেন অনেকে। আর এই ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে থাইল্যান্ডের রুয়াংসাকের কথায়। পেশায় গায়ক-অভিনেতা থাইল্যান্ডের এই তারকাও বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন। সেই ঘটনা অবশ্য ১৯৯৮ সালের। থাই এয়ারবেসের ফ্লাইট টিজি২৬১ বিমানটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। ১৪৬ যাত্রীর মধ্যে প্রাণ হারান ১০১জন। যে কয়েকজন বেঁচে ফিরেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম রুয়াংসাক। অদ্ভুতভাবে তাঁর সিট নাম্বারও ছিল ১১এ।
জীবনের সেই কালো দিনটা আর মনে করতে চান না রুয়াংসাক। কিন্তু বারে বারে দুঃস্বপ্ন হয়ে তা ফিরে আসে। বেঁচে ফেরার পর প্রায় এক দশক বিমানে চড়েননি। শুধু ভয় নয়, জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গিয়েছিল তাঁর। যখনই বিমান দুর্ঘটনার কথা শুনেছেন, অস্থির হয়েছেন রুয়াংসাক। তবে এতটা এর আগে হননি। কারণ আমেদাবাদের ঘটনার সঙ্গে সেদিনের অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছেন তিনি। অলৌকিকভাবে মিলে গেছে তাঁর সিট নাম্বার ১১এ। সেই সিট যেখানে বসেছিলেন আমেদাবাদ কাণ্ডের একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ। এই সিটের অলৌকিকত্ব নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই থাই তারকার। তিনি স্রেফ অবাক হয়েছেন এমন অদ্ভুত সমাপতন দেখে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন