
কলকাতা: পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রে এবার পাকিস্তানি যোগ মিলল। ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আজাদ মল্লিক পাকিস্তানি পরিচয় লুকিয়ে নিজেকে বাংলাদেশি বলে জানিয়েছিল। তদন্তকারীদের কাছেও সে নিজেকে সীমান্তের ওপারের বাসিন্দা বলে দাবি করেছিল। কিন্তু ধৃতের পাক ড্রাইভিং লাইসেন্স ধরিয়ে দিয়েছে, আজাদ আসলে পাকিস্তানের নাগরিক। মঙ্গলবার আদালতে এরকমই বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। এই তথ্য সামনে আসার পরই রীতিমতো উদ্বিগ্ন এজেন্সি।
দিন পনেরো আগে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি
থেকে ধরা পড়ে আজাদ। ইডি জানতে পারে, সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশিদের নিয়ে
এসে সে তাদের আধার, ভোটার কার্ড তৈরি করে দিচ্ছে। জাল নথি জমা করে ইস্যু
করা হচ্ছে ভারতীয় পাসপোর্ট। আজাদ তদন্তকারীদের কাছে দাবি করে, সে বাংলাদেশি
নাগরিক। এখানে এসে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
খুলেছে। ব্যাঙ্কে তার ২.৬২ কোটি টাকা রয়েছে। ইডি মঙ্গলবার আদালতে
জানিয়েছে, সে আসলে বাংলাদেশি কি না, তাই নিয়ে খোঁজ শুরু হয়। তদন্তে জানা
যায়, সে বাংলাদেশের নাগরিক নয়। আহমেদ হোসেন আজাদ নামে সে বাংলাদেশে নথি
তৈরি করেছে।
ভারতে আসার পর সে নামে পাল্টে হয়েছে আজাদ মল্লিক। এখানে এসে বাংলা ভাষা রপ্ত করেছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি পাকিস্তানি ড্রাইভিং লাইসেন্স, যা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই নিয়ে দীর্ঘ জেরা শুরু হলে আজাদ স্বীকার করে, সে আসলে পাকিস্তানের নাগরিক। সেখানে তার নাম ছিল আজাদ হোসেন। বছর ১২ আগে সে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিল। তারপর থেকে এখানেই বসবাস করছে। জাল নথি তৈরি করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরির কারবার খুলে বসেছিল। এরপরই রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যান তদন্তকারীরা। এরপরই এর তদন্তে আলাদা একটি মামলা শুরু করে ইডি। সেই মামলায় আজাদকে যুক্ত করা হয়। পাসপোর্ট জালিয়াতির টাকা জঙ্গিগোষ্ঠীর তহবিলে গিয়েছে কি না, তা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কারা তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন