এসএসসি চেয়ারম্যানকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

এসএসসি চেয়ারম্যানকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

এসএসসি চেয়ারম্যানকে জেলে  পাঠানোর হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

কলকাতা: নির্দেশ কার্যকর না-করায় এবার হাইকোর্টের রোষের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। এজলাস থেকেই তাঁকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। 


প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ১৫ হাজার পদে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ পরে সুপ্রিম কোর্টেও মান্যতা পায়। কিন্তু অভিযোগ, এসএসসি এখনও সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি। তার জন্য আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। ওই সূত্রেই এসএসিসির চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার আদালতে হাজির হন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। 


এসএসসির আইনজীবী হাইকোর্টে জানান, আদালত কাউন্সেলিং করে ১৪ হাজার ৫২টি নিয়োগের সুপারিশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেইমতো এসএসসি ১২ হাজারের বেশি নিয়োগ সুপারিশ করেছে। কিন্তু বাকি ১৪৮২টি পদে বিভিন্ন সম্যসার কারণে নিয়োগ সুপারিশ দেওয়া যাচ্ছে না।  এসএসসির আইনজীবী উদাহরণসহ জানান, কোনও এক জেলার কোনও স্কুলে হয়তো দু’জন শিক্ষক প্রয়োজন। অথচ সেখানে নিয়োগ করার মতো উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। কোনও স্কুলে বাংলা বিভাগে তিনজন শিক্ষক প্রয়োজন। অথচ যোগ্য রয়েছেন ১০ জন। এসএসসির আইনজীবী জানান, এমত সমস্যার কারণেই বাকি পদে নিয়োগের সুপারিশ করা যায়নি।


এই বক্তব্য শোনার পরই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘এটা এসএসসির সমস্যা। কোনও অজুহাত দেখাবেন না। কেন নির্দেশ কার্যকর হয়নি? এত ঔদ্ধত্য কোথা থেকে আসে! এজলাস থেকেই জেলে পাঠাব। ডেপুটি শেরিফকে ডেকে পাঠিয়ে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেব।’ 


এরপর বিচারপতি চক্রবর্তী সাফ জানিয়ে দেন, ‘আপনার কী ক্ষমতা রয়েছে, জানার দরকার নেই। আদালতের নির্দেশ পালন করতে হবে। এত দিন গেল, নির্দেশ কার্যকর হয়নি কেন? ১৬ তারিখের মধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। চেয়ারম্যানকে বাড়িতে বসে ভাবতে বলুন, উনি ডিভিশন বেঞ্চের অবমাননার মুখে। শিক্ষামন্ত্রী হোন বা হোক রাজ্য—কথা বলে সমাধান বের করুন।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...