আমেদাবাদ: প্লে-অফে জায়গা পাকা মানেই লড়াই শেষ নয়। প্রথম দু’টি স্থানের মধ্যে থাকতে পারলে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলে সরাসরি ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে। আবার হারলেও আশা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় না। এলিমিনটরে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সুযোগ মেলে। থাকে ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা। এই কারণেই বৃহস্পতিবার লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে গুজরাত টাইটান্স।
এবারের আইপিএলে ধারাবাহিকতার দিক থেকে অনেক এগিয়ে গুজরাত। মূলত অধিনায়ক শুভমন গিল ও সাই সুদর্শনের দুরন্ত ফর্ম বিপক্ষ দলের যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। জস বাটলারও বেশ কিছু ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন। তবে সমস্যা হল, শুরুতে গিল, সুদর্শন কিংবা বাটলার আউট হয়ে গেলে মিডল অর্ডারে হাল ধরার মতো কেউ নেই। রাদারফোর্ড, শাহরুখ খান, রাহুল তেওয়াটিয়ারা মোটেই সেই মাপের নন। গুজরাত টাইটান্সের বোলিংয়ে অবশ্য দুর্দান্ত ভারসাম্য রয়েছে। পেসার সিরাজ, প্রসিদ্ধ, আর্শাদ খানরা ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করছেন। ডোপ বিতর্ক কাটিয়ে দলে ফিরেছেন কাগিসো রাবাডা। ফর্মে না থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ দিনে তিনি জ্বলে উঠতেই পারেন। স্পিন বিভাগে সেরা অস্ত্র রশিদ খান ও সাই কিশোর।
অন্যদিকে, লখনউ সুপার জায়ান্টস একটা সময় আশা জাগিয়েছিল। মার্করাম, মার্শ ও পুরানের ব্যাটে অসাধ্য সাধনের স্বপ্ন দেখেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু মাঝপথে ছন্দ হারিয়ে প্লে-অফের আশা খুইয়েছে লখনউ। তার চেয়ে বড় ব্যাপার হল অধিনায়ক ঋষভ পন্থের শোচনীয় পারফরম্যান্স। নামের প্রতি তিনি সুবিচার করতে পারেননি। গত ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাত্র ৭ রান করে আউট হয়েছিলেন ঋষভ। স্বাভাবিকভাবেই প্রবল চাপে ক্যাপ্টেন। এখন দেখার, তিনি বিশ্রাম নেন কিনা। তবে আগামীর কথা ভেবে লখনউয়ের প্লেয়িং ইলেভেনে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
মূলত বোলিংই ডুবিয়েছে নবাবের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটিকে। শার্দূল ঠাকুর, আভেশ খানরা প্রচুর রান বিলিয়েছেন। আকাশ দীপের বোলিং একেবারেই পাতে দেওয়ার মতো নয়। কিছুটা ব্যতিক্রমী ছিলেন স্পিনার দিগবেশ রাঠি। তিনিও গত ম্যাচে অভিষেক শর্মাকে আউট করে বিতর্কিত সেলিব্রেশনে সাসপেন্ড হয়েছেন। তাই স্পিন বিভাগে সুদর্শনের সঙ্গী কে হন, সেটাই দেখার।
ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটে। সম্প্রচার স্টার স্পোর্টস ও জিওহটস্টারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন