
বারুইপুর: বারুইপুরের কুমোরহাটের বাসিন্দা আইরিন গাজি রাসমণি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। বাবা আলমগীর গাজি অটোচালক। মা নাফিসা বিবি গৃহবধূ। উচ্চ মাধ্যমিকে আইরিন বিজ্ঞান শাখায় ৪৬৭ নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন। স্কুল থেকে প্রথম হয়েছেন। তিনি বলেন, বাড়ির আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় গৃহশিক্ষক দিতে পারেনি। স্কুলের শিক্ষিকারা সাহায্য করেছেন বলেই এই ফলাফল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি অনার্স পড়তে চাই। ভবিষ্যতে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বসতে চাই।’
নাফিসা বিবি বলেন, ‘মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে আপ্রাণ লড়াই চালাব।’ অন্যদিকে মথুরাপুরের ঘোড়াদল হাইস্কুলের ছাত্রী অন্বেষা নস্কর উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৪৩ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়েছেন। দক্ষিণ লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতে থাকেন। বাবা প্রজেশ নস্কর চাষ করেন। মা রিনা নস্কর গৃহবধূ। এই কৃতি ছাত্রী বলেন,‘প্রিয় বিষয় ভূগোল। কিন্তু ইংরাজি অনার্স নিয়ে পড়তে চাই। পরবর্তীকালে রেলে চাকরি করার ইচ্ছে।’ মা রিনা নস্কর বলেন, ‘মেয়ের পড়াশোনা অনেক কষ্ট করে চালিয়ে এসেছি। ওর যা ইচ্ছে তাই পূরণ করার চেষ্টা করব।’
এছাড়া বারুইপুরের রাসমণি
বালিকা বিদ্যালয়ের আর এক ছাত্রী অনুশ্রী সরদার ৪৪২ নম্বর পেয়ে ইংরাজি
অনার্স নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চায়। বাবা বাপি সরদার
রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। অনুশ্রী বলেন, ‘বাবা কোমরে চোট পাওয়ায় বেশি কাজ
করতে পারে না। মা গৃহবধূ। কোনওরকমে আমাদের সংসার চলে। স্বপ্নসন্ধান সংস্থার
সুমিত কাকুর কাছে নবম শ্রেণি থেকে পড়েছি। ওঁর অবদান রয়েছে আমার এই ফলাফলে।
ভবিষ্যতে সরকারি চাকরি করতে চাই।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন