
কলকাতা: ভুয়ো পাসপোর্ট ও ভিসার কারবার করে পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক রোজগার করেছিল ৫০ কোটি টাকা! নগদ অর্থ জমা পড়ত তার সহযোগীদের অ্যাকাউন্টে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে এমনই বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। পাশাপাশি, জাল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরি করে দিয়ে সে বিদেশে লোক পাঠিয়েছে বলেও দাবি করেছে ইডি। তার সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ রয়েছে খতিয়ে দেখছে এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
পাক নাগরিক আজাদের
সঙ্গে পাকিস্তানের একাধিক ব্যক্তির যোগাযোগ ছিল। তাদের মধ্যে রয়েছে পাক
গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের অফিসাররাও। তাদের নির্দেশমতোই জাল পাসপোর্ট ও
ভিসা তৈরির পাশাপাশি চরবৃত্তির কাজ করছিল সে। তদন্তে প্রকাশ, ভারতে
অবৈধভাবে বসবাসকারী পাক নাগরিকদের সে বিভিন্ন পঞ্চায়েত থেকে বার্থ
সার্টিফিকেট বানিয়ে দিত। তার ভিত্তিতে তৈরি হতো ভোটার, আধার ও প্যান কার্ড।
সেগুলি জমা করে পাসপোর্ট বের করত অভিযুক্ত।
এরপর তাদের মালেশিয়া, দুবাই কম্বোডিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ভিসা ইস্যু করে ওই পাক নারগিকদের সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ধৃত আজাদ দাবি করেছে, পাসপোর্ট ও ভিসা জালই ছিল। এগুলি সে বাড়িতেই ছাপাত। তার উপর ব্যবহার করত আরপিও অফিসারদের জাল স্ট্যাম ও সই। এমনকী বিভিন্ন দেশের ভিসার যে লোগো ছিল সেটিও নকল করেছিল সে। এগুলি তৈরির জন্য পেমেন্ট করা হতো নগদেই। সেই টাকা জমা করার জন্য আজাদ সহযোগীদের নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলে। সেখানে প্রতিদিন নগদ টাকা জমা পড়ত। ওই টাকা জমা পড়েছে চার বছর ধরে। এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার হদিশে পেয়েছে ইডি। ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি।
তবে
তদন্তকারীরা মনে করছেন, আজাদ পাসপোর্ট তৈরির জাল নথি বানিয়ে পাসপোর্টের
জন্য আবেদন করত পিএসপিওতে। পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র ও পোস্ট অফিসের কর্মীদের
একাংশকে ম্যানেজ করে নিজের ঠিকানায় পাসপোর্ট আনিয়ে নিত সে। পাসপোর্ট সেবা
কেন্দ্রের কোন কোন ব্যক্তি এই অন্যায় ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত রয়েছে, আজাদ
মল্লিককে জেরা করে ইতিমধ্যেই জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন