
নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের যাবতীয় আক্রমণের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’। যার পোশাকি নাম এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ। রাশিয়া থেকে কেনা এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্যই আকাশপথে পাকিস্তানের যাবতীয় হামলা সুচারুভাবে রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় সেনা। ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে আসা ড্রোন, মিসাইল আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে এস-৪০০। এই সাফল্য দেখে আরও এস-৪০০ সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার কাছে প্রস্তাব দিল ভারত। সূত্রের খবর, রাশিয়া খুব তাড়াতাড়ি আরও আধুনিক এস-৫০০ ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করবে। ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওই প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব আগেই দিয়েছে মস্কো।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র
জানিয়েছে, ভারতে হামলা চালানোর জন্য মূলত আকাশপথকেই বেছে নিয়েছিল
পাকিস্তান। তাই এবার আকাশপথকে নিশ্ছিদ্র করতে চাইছে ভারত। তার জন্যই এস-৪০০
এয়ার ডিফেন্সের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে চাইছে নয়াদিল্লি। ওই সূত্রটি আরও
জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে ভারতের আবেদনে সাড়া দিতে চলেছে রাশিয়া।
২০১৮
সালে রাশিয়ার থেকে পাঁচটি এস-৪০০ কেনার জন্য চুক্তি করে ভারত। এর জন্য খরচ
হয়েছিল প্রায় সাড়ে পাঁচশো কোটি ডলার। এখনও পর্যন্ত তিনটি সিস্টেম ভারতের
হাতে এসেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বাকি দুটি এস-৪০০ আসতে দেরি হচ্ছে। তবে
সেগুলিও আগামী বছর ভারতের হাতে চলে আসবে। ২০২১ সালে প্রথম পাঞ্জাবে
‘সুদর্শন চক্র’ মোতায়েন করা হয়। পাকিস্তান ও চীনে আক্রমণ ঠেকাতে এটি কাজ
করেছে। বাকি দুটিও এখন কার্যকর রয়েছে। তবে নিরাপত্তার কারণে সেগুলির
অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি।
সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, সারা বিশ্বে
এস-৪০০ সিস্টেমের সঙ্গে একমাত্র আমেরিকার তৈরি ‘থাড’ এয়ার ডিফেন্স
সিস্টেমের তুলনা চলতে পারে। এমনকী ইজরায়েলের তৈরি ‘আয়রন ডোম’-এর থেকেও এই
সিস্টেম বেশি কার্যকর। যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক
ক্ষেপণাস্ত্র-সব কিছুই আটকে দিতে সক্ষম এস-৪০০। আর তা যে খাতায় কলমে নয়,
তার প্রমাণ গত কয়েকদিনে বারবার মিলেছে। তাই ভবিষ্যতেও শত্রুদের খতম করতে
‘সুদর্শন চক্রে’র উপরই ভরসা রাখছে ভারত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন