
ভুবনেশ্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পুরীর জগন্নাথ ধামের দয়িতাপতি রামকৃষ্ণ দাসমহাপাত্র বা রাজেশ দয়িতাপতিকে শেষপর্যন্ত সাসপেন্ড করল কর্তৃপক্ষ। শ্রীজগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রশনের (এসজেটিএ) পক্ষ থেকে রবিবার জানানো হয়েছে, দ্বাদশ শতকে নির্মীত জগন্নাথ ধামের পবিত্রতা নষ্ট করেছেন এই দয়িতাপতি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল।
এসজেটিএ-র প্রধান অরবিন্দ পাধি জানিয়েছেন, এক মাসের জন্য ওই প্রবীণ দয়িতাপতি মন্দিরের কোনও আনুষ্ঠানিক কাজকর্ম করতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, এই সময়ের জন্য তাঁর পুরীর মন্দিরের মধ্যে প্রবেশের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এসজেটিএ। সাসপেনসনের এই একমাস সময়ে রামকৃষ্ণ দাসমহাপাত্রের উপর নজরদারিও চালানো হবে।
অক্ষয় তৃতীয়ার
দিন দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
দয়িতাপতি রামকৃষ্ণ দাসমহাপাত্র। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ২০১৫ সালে পুরীর
জগন্নাথ ধামের ‘নব কলেবর’-এর উদ্বৃত্ত নিমকাঠ দিয়ে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের
মূর্তি বানানো হয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যের পর বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। পরে বয়ান
বদলে রামকৃষ্ণ বলেন, ‘আমি আসলে বলতে চেয়েছি পুরীর জগন্নাথ ধামের মতোই দীঘার
মন্দিরের মূর্তিও নিম কাঠে তৈরি হয়েছে।’ পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষের মতে,
রামকৃষ্ণের দু’টি ভিন্নধর্মী বয়ানে পুরীর জগন্নাথ ধামের ভক্তদের মধ্যে সংশয়
তৈরি হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন