
কলকাতা: বাংলার বাইরে এবার অসমেও উড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের জয়পতাকা। পাঁচটি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত আসনে জয় পেল জোড়াফুল। তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই জয়ের মধ্যে দিয়ে বিজেপি-শাসিত অসম রাজ্যে খাতা খুলল বাংলার শাসক দল। সোমবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন বন্দিয়া, আঁচলপাড়া, ডামপুর, গোবিন্দপুর-অলগাপুর ও বিনোদিনী আসনে। জয়ী প্রার্থী ও অসম তৃণমূলের নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল এই জয়। অসমে তৃণমূল ক্রমশ সাধারণ মানুষের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। অসমের সাধারণ মানুষ সমর্থন ও আস্থাজ্ঞাপন করছেন তৃণমূলের প্রতি। জয়ের এই সবে শুরু। সাধারণ মানুষের স্বার্থে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আগামী দিনে অসমের মানুষের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অর্থবহ বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হবে তৃণমূল কংগ্রেস।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী
হওয়ার পর বাংলার বাইরে পা রাখে তৃণমূল। ত্রিপুরা, অসম, গোয়া ও মেঘালয়
রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে মন দেয় জোড়াফুল শিবির। মেঘালয় রাজ্যে এখন তৃণমূল
প্রধান বিরোধী দলের আসনে রয়েছে। আর এবার অসমে পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূলের
জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলেন। অসমের কামরূপ দক্ষিণ, কামরূপ উত্তর, ডারাং,
চাচর ও শ্রীভূমি জেলার পঞ্চায়েত আসনে জয় পেয়েছে বাংলার শাসক দল।
বিজেপি-শাসিত অসমে রাজনীতির হাওয়া ঘুরছে, সেটাই তুলে ধরেছে জোড়াফুল শিবির।
অসম তৃণমূলের ইনচার্জ মলয় ঘটক বলেন, অসমের মানুষ পরিবর্তন চাইছেন, তার
প্রমাণ পাওয়া গেল এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে। অসমের বাসিন্দা
তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, অসমে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।
মানুষ প্রতিদিনই তৃণমূলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। আর মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরলস প্রচেষ্টার
মধ্যে দিয়েই শক্তিশালী হচ্ছে তৃণমূলের সংগঠন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন