
মেদিনীপুর:
দীঘার জগন্নাথ মন্দির ঘিরে রাজ্যব্যাপী উন্মাদনা তুঙ্গে। সেই উন্মাদনায়
মেতেছে পশ্চিম মেদিনীপুরও। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের
উদ্যোগে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক, শহরাঞ্চলে এলইডি স্ক্রিন বসানোর
উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেই স্ক্রিনের মাধ্যমে জেলার মানুষকে জগন্নাথ
মন্দিরের উদ্বোধন কর্মসূচি দেখানো হবে। শুধু তাই নয়, জেলা তৃণমূলের তরফে
সাধারণ মানুষের জন্য মিষ্টি বিতরণও হবে। জেলা তৃণমূলের নেতারা বলছেন, জেলা
তৃণমূলের তরফে বিশেষ ট্যাবলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলার প্রতিটি ব্লক ও
পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার চালাবে সেই ট্যাবলো। এছাড়াও টোটো গাড়ির মাধ্যমে
চালানো হবে প্রচার। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। এনিয়ে জেলা
তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা বৈঠকও সেরেছেন। একইসঙ্গে সমস্ত স্তরের নেতা,
কর্মীর এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এদিন দলীয়
কার্যালয়ে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মেদিনীপুর
বিধানসভার বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন, দীঘাকে সাজিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েক বছরে দীঘার ভোল পাল্টে গিয়েছে। এরফলে
পর্যটন ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। সেখানেই জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছে।
তাই জঙ্গলমহলের মানুষ মন্দির উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছেন। এনিয়ে জেলা
ব্যাপী নানা কর্মসূচি করা হবে। জেলার সর্বস্তরের কর্মীদের প্রচারে নামার
আহ্বান জানানো হচ্ছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি বলেন, গোটা
দেশের মানুষ এই মন্দির উদ্বোধনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায়
লাগানো এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ মন্দির উদ্বোধন দেখতে পাবেন।
জেলার মানুষকে জগন্নাথ মন্দির দর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত,
জগন্নাথ মন্দির বলতেই সবার প্রথমে পুরীর কথাই মাথায় আসে। প্রতিবছর পশ্চিম
মেদিনীপুরের এই জেলা থেকেও হাজার হাজার মানুষ পুরী বেড়াতে যান। কিন্তু যা
খুবই ব্যয়বহুল। তবে এবার পাশের জেলায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হওয়ায় খুশিতে
আত্মহারা আট থেকে আশি সকলেই। মন্দির উদ্বোধনের পর দীঘা যাওয়ার পরিকল্পনা
করছেন অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, বয়স্ক মানুষদের পুরী যেতে খুবই
সমস্যা হতো। এবার মাত্র দুই থেকে তিন ঘণ্টার রাস্তা অতিক্রম করলেই বয়স্ক
মানুষরা জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে পারবেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ
জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে যাবেন। অনেকেই গাড়ি ভাড়া করতে শুরু করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন