চাহিদা কমে যাওয়ায় লঙ্কার দাম নেই, চোপড়ায় ক্ষতির মুখে চাষিরা - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

চাহিদা কমে যাওয়ায় লঙ্কার দাম নেই, চোপড়ায় ক্ষতির মুখে চাষিরা


চাহিদা কমে যাওয়ায় লঙ্কার দাম নেই, চোপড়ায় ক্ষতির মুখে চাষিরা

 চোপড়া: ভিনরাজ্যে চাহিদা কমে যাওয়ায় চোপড়ার লঙ্কা চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে মরশুমের শুরু থেকে  লংকার বাজার জমতে শুরু করে। শুরুতে লংকার দাম কেজি প্রতি ১৮-২৩ টাকা থাকলেও বর্তমানে তা ৫-৬ টাকায় নেমে এসেছে। অপ্রত্যাশিতভাবে দাম কমে যাওয়াই হতাশ চাষিরা। অনেকে জমি থেকে লংকাগাছ তুলে দিয়ে পাট সহ অন্য ফসলের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। চোপড়া ব্লকের বহু কৃষক লংকা চাষ করেন। এখানকার লংকা প্রতিবছর অন্য রাজ্যে যায়। লংকার সব থেকে বড় বাজার বসে লক্ষ্মীপুরে। সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই জমে ওঠে লংকার বাজার। 
চাষিদের বক্তব্য, মরশুমের শুরুতে লংকার ভালো দাম ছিল। কিন্তু বর্তমানে দাম এতটাই কমে গিয়েছে, যে উৎপাদন খরচটুকুও উঠছে না। লংকা চাষি তহিরুল ইসলাম জানান, গতবছর এই সময়ে লংকার দাম কেজি প্রতি ৫০-৫৫ টাকা ছিল। এবার আমরা লোকসানের মুখে। ৫-৬ টাকা কেজি দরে লংকা বিক্রি করতে হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাইরের রাজ্যে চোপড়ার লংকার চাহিদা নেই। ফলে স্থানীয় বাজারে চাহিদার উপরই দাম ওঠানামা করছে। গতবছর পাঞ্জাব, বিহার, উত্তর প্রদেশের মতো বিভিন্ন রাজ্যে লংকা পাঠানো হয়েছিল। তবে এবার কেবল বিহারে কিছু লংকা পাঠানো হয়েছে। ভালো দাম থাকলে এই ব্যবসা সাধারণত মে মাস পর্যন্ত চলে। ব্যবসায়ী মুক্তার আলম জানান, এ বছর শুধু বিহারে লংকা যাচ্ছে। অন্য রাজ্যর বাজারে চাহিদা না থাকায় আশানুরূপ দাম পাওয়া যাচ্ছে না। 
চোপড়া ব্লকের দাসপাড়া, ঘিরনিগাঁও, লক্ষ্মীপুর, চোপড়া ও চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু অংশ এবং ইসলামপুরের কমলাগাঁও, সুজালি, গোবিন্দপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় লংকার চাষ হয়। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে লংকার ফলন উঠতে শুরু করে এবং মে মাস পর্যন্ত এই ব্যবসা চলে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি লংকা বিহারে গেলেও দাম না থাকায় হতাশ চাষিরা। কলিমুদ্দিন  এ বছর এক বিঘা জমিতে লংকা চাষ করেছেন। শুরুতে ভালো দামও পেয়েছিলেন। কিন্তু দাম না মেলায় খেত থেকে লংকা তুলে অন্য ফসলের চাষ করার চিন্তাভাবনা করছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...