
আমেদাবাদ: দলগত সংহতিতে অসাধ্য
সাধনের চেষ্টা। এই ফর্মুলাতেই প্লে-অফের পথে এগিয়ে চলেছে দিল্লি
ক্যাপিটালস। ৬টি খেলে পাঁচটিতে জয়। ১০ পয়েন্ট নিয়ে অক্ষর প্যাটেলরা আপাতত
শীর্ষে। ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে গুজরাত টাইটান্স। সমসংখ্যক ম্যাচে শুভমান
গিলদের ঝুলিতে ৮ পয়েন্ট। নেট রানরেটে অবশ্য দিল্লির থেকে এগিয়ে গুজরাত।
শনিবার ঘরের মাঠে অক্ষরদের হারাতে পারলেই শীর্ষস্থান দখল করবে গিল বাহিনী।
গত
ম্যাচে রাজস্থানকে সুপার ওভারে হারিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। স্বভাবতই
ক্রিকেটারদের মনোবল তুঙ্গে। দিল্লির ব্যাটিংয়ে বড় ভরসা লোকেশ রাহুল।
দুরন্ত ফর্মে তারকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। পাশাপাশি বাঁ হাতি ওপেনার অভিষেক
পোড়েল পাওয়ার প্লে’তে ঝড়ের গতিতে রান তুলছেন। সমস্যা অবশ্য যে একেবারে নেই
তা নয়। আর এক ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক ফর্ম হাতড়াচ্ছেন। গুজরাতের
বিরুদ্ধে তিনি বাদ পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দিল্লির মিডল অর্ডার
শক্তিশালী। ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেলের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বড় ফারাক গড়ে
দিতে পারেন। ভরসা জোগাচ্ছেন ট্রিস্টান স্টাবস। করুণ নায়ারের আগমনে টপ
অর্ডার আরও শক্তিশালী হয়েছে।
দিল্লির বোলিংও খারাপ নয়। তবে শুরুতে
মিচেল স্টার্ক কিংবা মুকেশ কুমার তেমন ঝাঁকুনি দিতে পারছেন না। নরেন্দ্র
মোদি স্টেডিয়ামের বাউন্ডারি যেহেতু বড়, তাই স্পিনাররা অ্যাডভান্টেজ পাবে।
সেক্ষেত্রে বিপরাজ নিগম ও কুলদীপ যাদব কিন্তু চাপে রাখতে পারেন গুজরাতের
ব্যাটসম্যানদের।
দিল্লির বিরুদ্ধে গিলদের বাড়তি সুবিধা হল হোম
অ্যাডভান্টেজ। তবে আমেদাবাদে এখন প্রচণ্ড গরম। তার উপর খেলা হবে দুপুরে।
তাই দর্শকরা কতটা মাঠমুখী হবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গুজরাতের
ব্যাটিংয়ের বড় ভরসা সাই সুদর্শন ও ক্যাপ্টেন শুভমান গিল। শুরুতে ধাক্কা
খেলে তা সামলে ওঠার দায়িত্ব নিতে হবে জস বাটলারকে। মিডল অর্ডারে ওয়াশিংটন
সুন্দরকে গুঁজে দিয়ে ফাটকা খেলেছিল গুজরাত। কিন্তু গত ম্যাচে তা কাজে
আসেনি। শেরফানে রাদারফোর্ড, শাহরুখ খান, রাহুল তেওয়াটিয়ার মতো ক্রিকেটার
আছেন, যাঁরা কঠিন পরিস্থিতিতে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন