বাংলার বাড়ির পরের কিস্তি মে মাসে, পরবর্তী এক বছরের সময়সূচিও বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

বাংলার বাড়ির পরের কিস্তি মে মাসে, পরবর্তী এক বছরের সময়সূচিও বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলার বাড়ির পরের কিস্তি মে মাসে, পরবর্তী এক বছরের সময়সূচিও বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

মেদিনীপুর: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা দেয়নি কেন্দ্র। তাই রাজ্যের কোষাগার থেকেই পুরো টাকা দিয়ে বাংলার প্রান্তিক মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ) প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ২৮ লক্ষ উপভোক্তাকে মাথাপিছু ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে তালিকা তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। তাঁদের মধ্যে ১২ লক্ষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ডিসেম্বরেই প্রথম কিস্তির টাকা চলে গিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তি মিলবে আগামী মাসেই। মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তালিকাভুক্ত বাকি ১৬ লক্ষ উপভোক্তা আগামী ডিসেম্বরে প্রথম কিস্তি এবং ২০২৬-এর মে মাসে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাবেন। এদিন মেদিনীপুরে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে জানান তিনি। 


এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার নামে কেউ টাকা চাইলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে সোজা স্থানীয় থানায় এফআইআর করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম কিস্তির টাকায় কতজন লিন্টেল পর্যন্ত কাজ করেছেন, রাজ্যজুড়ে তার সমীক্ষাও শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, দ্বিতীয় কিস্তির অনুমোদন দিতে বেশকিছু উপভোক্তার কাছে টাকা চাওয়ারও অভিযোগ পেয়েছে নবান্ন! এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করারই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘এজন্য কাউকে এক পয়সাও দিতে হবে না। এটা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের খরচায় হচ্ছে। এটা মানুষের অধিকার। কেউ টাকা চাইলেই এফআইআর করুন।’


১০০ দিনের কাজে বঞ্চনা থেকে শুরু করে ভুয়ো ভোটার কার্ড ইস্যু পর্যন্ত অন্যায়ের প্রতিবাদে ডেপুটেশন দিতে গেলে তাঁর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে হয়রানি করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ার বিষয়ে আমাদের লোকেরা ডেপুটেশন দিতে গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে থানায় ডেকে পাঠাচ্ছে দিল্লি পুলিস। এমনকী, ডেরেকের (রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন) কাছে শুনলাম, একটা প্রতিবাদ জানাতে ওরা ইসি অফিসে গিয়েছিল। তা নিয়েও দিল্লি হাইকোর্টে একটা কেস হয়েছে!’


এদিন মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে জেলার প্রায় সাড়ে আট লক্ষ মানুষকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১,৮৫০ কোটি টাকার অর্থমূল্যের ১০৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৩৯৩ কোটি টাকা অর্থমূল্যের ২১২টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। 


তবে এদিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল গোয়ালতোড়ে পূর্ব ভারতের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে মেদিনীপুর থেকেই এটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। জার্মানির কেএফডব্লু ব্যাঙ্কের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৭৫০ কোটি টাকা খরচে এই প্রকল্প গড়ে তুলেছে রাজ্য। বর্তমানে ১১২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এই কেন্দ্রে। জার্মানির এই ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরাও এদিন মেদিনীপুরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই আগামী দিনে এই প্রকল্পের বহর বাড়িয়ে আরও ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। জানিয়েছেন মমতা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...