
কলকাতা: ২০২৪ সালের সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় প্রথম হলেন উত্তরপ্রদেশের শক্তি দুবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে হর্ষিতা গোয়াল ও ডোংরে অর্চিত পরাগ। মঙ্গলবার ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (ইউপিএসসি) তরফে প্রকাশ করা হল মেধাতালিকা। জানা গিয়েছে, প্রথম পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই মহিলা। চূড়ান্ত সফল তালিকায় রাজ্য সরকার চালিত সত্যেন্দ্রনাথ টেগোর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টারের পাঁচ প্রশিক্ষিত রয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন মহিলা। দু’জনেই আইএএস ক্যাডার পেতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়ে তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিভিল সার্ভিসের সর্বভারতীয় পরীক্ষায় রাজ্যের আরও কয়েকজন প্রার্থী সফল হয়েছেন।
তাঁদেরও শুভেচ্ছা জানাই। সরকারি সূত্রের খবর, সবমিলিয়ে রাজ্য থেকে সফলের তালিকায় মোট ১১ জন থাকতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বার্তায় রাজ্য সরকারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষিত সফলদের নাম ও র্যাঙ্ক উল্লেখ করেছেন। এঁরা হলেন, মেঘনা চক্রবর্তী (৭৯), সহর্ষ কুমার (১৫৩), পারমিতা মালাকার (৪৭৭), রাজদীপ ঘোষ (৭৮৯) এবং প্রভীন কুমার (৮৩৭)। এদিকে রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রানাঘাটের ডিএসপি (ট্রাফিক) সঞ্জয় কুমারের পুত্র যশ কুমার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ২২৭ র্যাঙ্ক পেয়েছেন। প্রথমবার পরীক্ষা দিয়েই তিনি সফল হয়েছেন। সল্টলেকের বাসিন্দা মেঘনা চক্রবর্তী আইএএস বা আইএফএস (ফরেন সার্ভিস) ক্যাডার পেতে পারেন বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে। উত্তর ২৪ পরগনার পানশিলার বাসিন্দ পারমিতা মালাকারও আইএএস ক্যাডার পেতে পারেন। কলকাতার সহর্ষ কুমারের আইপিএস ক্যাডার পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। নদীয়ার রানাঘাটের রাজদীপ ঘোষ ও কর্মসূত্রে কলকাতার বাসিন্দা প্রভীন কুমারের রেভিনিউ সার্ভিস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জানা
গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মেয়ে ‘টপার’ শক্তি দুবে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে স্নাতক স্তরে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর ঐচ্ছিক বিষয়
ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। হর্ষিতা বরোদার এমএস
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম নিয়ে স্নাতক হয়েছেন। তাঁরও ঐচ্ছিক বিষয় ছিল
রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। তৃতীয় স্থানাধিকারী পরাগ বিটেক
করেছেন ভেলোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে। তাঁর ঐচ্ছিক বিষয় ছিল
দর্শনশাস্ত্র।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন