
নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওতে নৃশংস হামলার পর কাশ্মীরজুড়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গি ও তাদের সাহায্যকারীদের বাড়িতে শুরু হয়েছে অভিযান। যে সব ঘাঁটিতে জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেখানেও অভিযান চালানো হচ্ছে। বাহিনীতে রয়েছে ভারতীয় সেনা, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের সদস্যরা। শনিবার তল্লাশিতে কুপওয়ারা জেলায় একটি জঙ্গি ঘাঁটি থেকে প্রচুর অস্ত্র ও কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর মধ্যে পাঁচটি একে-৪৭ রাইফেল, ওই রাইফেলের আটটি ম্যাগাজিন, পিস্তল, সাতশোর বেশি কার্তুজ রয়েছে।
বাহিনীর অভিযানের মধ্যেই
উপত্যকাজুড়ে একের পর এক লস্কর-ই-তোইবা জঙ্গির বাড়ি বিস্ফোরেণে উড়ে যাওয়ার
খবর মিলেছে। শুক্রবার দুই জঙ্গি আদিল হুসেন ঠোকার ও আসিফ শেখের বাড়ি
বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পহেলগাঁওয়ে হামলাকারীদের এই দুই
লস্কর-ই-তোইবা জঙ্গি সাহায্য করেছিল। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছিল, ওই
বাড়িতে বিস্ফোরক মজুত করা ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনার রেশ কাটার
আগেই শনিবার মাটিতে মিশে গিয়েছে আরও পাঁচ জঙ্গির বাড়ি। এর মধ্যে লস্করের এক
শীর্ষ কমান্ডারের বাড়িও রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, শনিবার
সোপিয়ান, কুলগাঁও ও পুলওয়ামা জেলায় অভিযান চলে। এছাড়া শ্রীনগর, অনন্তনাগেও
জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। অভিযান চলার সময় সোপিয়ানের চটিপোরা গ্রামে
লস্কর কমান্ডার শাহিদ আহমেদ কুট্টের বাড়ি বিস্ফোরণে উড়ে যায়। গত তিন-চার
বছর ধরে শাহিদ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। ভারত-বিরোধী
বিভিন্ন কাজেও সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া কুলগামের মাতালাম
এলাকায় আর এক জঙ্গি জাহিদ আহমেদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। পুলওয়ামার মুরান
এলাকাতেও আহসান উল হক নামে এক জঙ্গির বাড়িও বিস্ফোরণে মাটিতে মিশে যায়।
২০১৮ সালে আহসান পাকিস্তানে গিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেয়। সম্প্রতি সে ফের
কাশ্মীরে ফিরে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। যা গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মাথাব্যথা
বাড়িয়েছে। এহসান আহমেদ শেখ নামে এক লস্কর জঙ্গির দোতলা বাড়িও অভিযান চলার
সময় গুঁড়িয়ে গিয়েছে। এহসান ২০২৩ সাল থেকে উপত্যকায় সক্রিয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন