
নয়াদিল্লি: প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। এই ছিল আদালতের নির্দেশ। তবে তা না মানতে চাওয়ায় মানহানির মামলায় তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলের সংসদ হিসেবে মাসিক বেতনের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ কেটে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু এভাবে বেতন কেটে নেওয়ার ‘বিকল্প’ হিসেবে বাকি তৃণমূল সাংসদরা প্রত্যেকে মাসে সাকেতকে চার হাজার টাকা করে দেবে বলেই শুক্রবার ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর স্ত্রী লক্ষ্মীকে নিয়ে আপত্তিকর টুইট করেছিলেন সাকেত। যার জেরে মানহানির মামলা হয়। মামলার নির্দেশে আদালত যাই বলুক না কেন, এভাবে বেতন কেটে নেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, সম্প্রতি রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করে দলের পক্ষে সরব হয়েছিলেন সাকেত। তারই জেরে প্রতিহিংসার শিকার হতে হচ্ছে মহারাষ্টের এই আরটিআই কর্মীকে। বর্তমানে তিনি বাংলা থেকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য। সাংসদের এখন বেতন মাসে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। যা বেড়ে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার হবে বলেই সম্প্রতি গেজেট বিজ্ঞপ্তি হয়েছে। ফলে এর সিংহভাগ কাটা গেলে সাকেতের চলবে কী করে? এই ভাবনা থেকে তৃণমূলের বাকি ৪০ সাংসদ মাসে মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করবে বলেই ঠিক করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন