
নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে লস্কর-ই-তোইবার স্থানীয় সংগঠন টিআরএফ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নেপথ্যে পাকিস্তানেরই হাত রয়েছে। যদিও শুরুতেই তা অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। উল্টে ভারতের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সরব হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। জানালেন, তদন্তের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছেন তাঁরা। এরপরই বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তাঁর কথায়, বারবার অবস্থান বদলাচ্ছে পাকিস্তান। তাই ‘নিরপেক্ষ তদন্তে’র বিষয়টি ঠিক স্পষ্ট হচ্ছে না।
এদিন খাইবার
পাখতুনখোয়ার কাকুল এলাকায় পাক মিলিটারি অ্যাকাডেমির একটি অনুষ্ঠানে যোগ
দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘পহেলওগাঁওতে হামলার
ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও সেই একে-অন্যকে দোষারোপের খেলা শুরু হয়েছে। এটি
বন্ধ হওয়া উচিত। একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে যে কোনও স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও
বিশ্বাসযোগ্য তদন্তকে স্বাগত জানাচ্ছে পাকিস্তান। আমরা সর্বদা
সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানিয়েছি। তাছাড়া পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী দেশের
সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষায় সম্পূর্ণভাবে সক্ষম। তারা যে কোনও শত্রুর
মোকাবিলা করতে পারে।’ এরইমাঝে শুক্রবার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক
সাক্ষাৎকারে এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক স্তরে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা মহম্মদ আসিফ। তিনি জানান,
‘আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাদের দিয়ে পহেলগাঁও হামলার তদন্ত করানো হোক। কারণ,
ভারত কোনও প্রমাণ বা তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। পরে এনিয়ে কটাক্ষ করেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এভাবে পাকিস্তানের রং বদলকে নিশানা করে আবদুল্লার মন্তব্য, ‘জঙ্গি হামলা নিয়ে প্রথমে পাকিস্তান কোনওকিছুই মানতে চায়নি। পরে তারা বলে, ভারতই পরিকল্পনা করে এই কাজ করেছে। আমাদের দোষারোপ করার পর এখন তারা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের কথা বলছে। বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে না।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন