
নয়াদিল্লি, বহরমপুর ও মালদহ: মুর্শিদাবাদের ঘটনায় অযাচিত মন্তব্য করে ভারতের কড়া প্রতিবাদের মুখে বাংলাদেশ! বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম অযাচিতভাবে নয়াদিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সব রকমভাবে রক্ষা করার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগকে অপ্রয়োজনীয় ও লোক দেখানো বলে দাবি করেছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। বাংলাদেশকে কার্যত ‘নিজের চরকায় তেল দেওয়ার’ পরামর্শ দিয়েছে দিল্লি।
তিনি বলেছেন,
‘পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা সম্পূর্ণভাবে
প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে
এই ঘটনার তুলনা করে একটা ছলনা করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের
সঙ্গে যুক্তরা, এখনও স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে ভারতের অভ্যন্তরীণ
বিষয়ে অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং পরামর্শ দানের পরিবর্তে, বাংলাদেশ যদি তার
নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল
করবে।’
এদিকে শুক্রবারই ট্রেনে করে মালদহে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ
বোস। এদিন দুপুরেই মালদা টাউন স্টেশনে নেমে সার্কিট হাউস পৌঁছন তিনি।
কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর বৈষ্ণবনগরের পারদেওনাপুর হাইস্কুলে পৌঁছন
রাজ্যপাল। সেখানেই সামশেরগঞ্জেরর ঘরছাড়া বেশ কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিন মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও
মহিলা কমিশনের সদস্যরা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল
এদিন দুপুরে পারদেওনাপুর হাইস্কুলে এসে আশ্রিতদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের
অভিযোগের কথা শোনেন। এদিন দুপুরেই বহরমপুরের সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছয়
জাতীয় মহিলা কমিশনের তিন সদস্যসহ একটি প্রতিনিধি দল। জেলাশাসক রাজর্ষি
মিত্রের সঙ্গে কিছুক্ষণ আলোচনা করে তাঁরা মালদহের আশ্রয়-শিবিরের দিকে রওনা
দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন