শততম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রামকে বিশেষ গুরুত্ব! শুভেন্দুকে কতটা গুরুত্ব দেয় বিজেপি ফের তা স্পষ্ট হল! - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

সোমবার, ১ মে, ২০২৩

শততম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রামকে বিশেষ গুরুত্ব! শুভেন্দুকে কতটা গুরুত্ব দেয় বিজেপি ফের তা স্পষ্ট হল!

 

কলকাতা:  ফের খবরের শিরোনামে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর শততম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে দেশের মাত্র ১৬ টি জায়গার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার মধ্যে স্থান পেয়েছে নন্দীগ্রাম। পশ্চিমবঙ্গের কেবলমাত্র এই একটি জায়গাকেই বেছে নিয়েছিল কেন্দ্র। এতেই স্পষ্ট গেরুয়া শিবির কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে। যে ঘটনায় উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু শিবির।

এর কারণ একটাই, জমি  আন্দোলনের আঁতুরঘর নন্দীগ্রাম রাজ্য রাজনীতির পুরো প্রেক্ষাপটকে রাতারাতি বদলে  দিয়েছিল। নন্দীগ্রাম ঘটনার জেরেই পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান হয়। আর সেই নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছেন শুভেন্দু। তাই একুশের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ভাল ফল করতে না পারলেও শুধুমাত্র নন্দীগ্রামে জয়ের জন্য শুভেন্দুকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সেই সূত্রে প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের সেঞ্চুরির দিনটিতে  নন্দীগ্রামের স্থান পাওয়াটা যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


রবিবার নন্দীগ্রামের গোকুলনগর হাইস্কুলে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান শোনার জন্য পাঁচ হাজার মানুষ হাজির হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই অনুষ্ঠান ঘিরে নন্দীগ্রাম তথা গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। নন্দীগ্রামের গোকুলনগর স্কুলে বসেই অনুষ্ঠান শোনেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে  আসে মানুষের কথা এবং পজিটিভ চিন্তার কথা। প্রধানমন্ত্রী বলেন জনতাই তাঁর কাছে ঈশ্বর।

উল্লেখ্য রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল আজ নতুন কোনও ঘটনা নয়। দিল্লির নেতৃত্বের কাছে  কে বা কারা বেশি পাত্তা পাওয়ার জন্য কতটা চেষ্টা করছেন তা মাঝেমধ্যেই খবরের শিরোনামে আসে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, মূলত এই তিনজনের কাঁধেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুদায়িত্ব। আর এই তিনজনের মধ্যে যে বিস্তর দূরত্ব রয়েছে সেটা সকলেরই জানা। এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজ্য বিজেপির তিন শীর্ষ নেতা বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেমে পড়েছেন এমন ঘটনা দেখা যায় না।


এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁকেই বিরোধী দলনেতা করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত দিল্লি সফরে গিয়ে শুভেন্দু দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। যে বিষয়টিকে আবার ভাল চোখে দেখেন না রাজ্য বিজেপির অন্য শিবিরের নেতারা।


অর্থাৎ আদি এবং নব্য বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল, আছে এবং সেটা আগামী দিনেও থাকবে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিয়েছেন তাতে অন্য শিবিরকে টেক্কা দেওয়া গেল বলেই মনে করছেন শুভেন্দুর অনুগামীরা।‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...