কলকাতা: ‘কাম হো গ্যয়া। চন্দন খতম’—পাটনা হাসপাতালে গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার পর পুরুলিয়া জেলে বন্দি ‘বস’ শেরু ওরফে ওঙ্কার নাথ সিংকে ফোন করে একথা জানিয়েছিল শ্যুটার বলবন্ত কুমার। তার মোবাইলের কল ডিটেইলস ঘেঁটে এই তথ্য পেয়েছে বিহার পুলিস। একইসঙ্গে চন্দনকে খালাস করার জন্য সুপারি কিলারদের পিছনে ৪০ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল শেরু। এই টাকা তার হয়ে পেমেন্ট করেছিল যে সমস্ত ব্যবসায়ী, তারা বাংলা-বিহার সীমানা লাগোয়া এলাকায় বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায় যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে।
আনন্দপুরের গেস্ট হাউস থেকে গুলিকাণ্ডে ধৃত তৌসিফ রাজা ওরফে বাদশাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, তার মাসতুতো ভাই নিশু খান এই হাসপাতালে অনেকদিন ভর্তি ছিল। যে কারণে সে এই হাসপাতালে বারবার গিয়েছে। হাসপাতালের প্রতিটি অংশ ভালো করে চিনত। যে কারণেই অপারেশনের দিন তাকেই টিম লিড করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অপারেশনের আগের দিন সে রাতভর পার্টি করে। সেখানে তার কয়েকজন বান্ধবীও হাজির ছিল। হাসপাতালে যাওয়ার আগে মদ্যপান করে। চন্দনকে খুনের পর তাদের উল্লাসের ছবি ভিডিও করে শেরুর এক শাগরেদ। সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করা হয়। তৌসিফ জেরায় তদন্তকারীদের জানিয়েছে, ঘটনার পর শেরুকে সে কোনও কল করেনি। জেল বন্দি এই গ্যাংস্টারের মোবাইল নম্বর জানত বলবন্ত। এই নিয়ে বলবন্তকে জেরা করা শুরু হলে সে স্বীকার করে নেয়, পুরুলিয়া জেলে শেরুকে ফোন করে গোটা ঘটনা জানিয়েছিল। শেরু তাকে বলেছিল, কয়েকটা দিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে। গ্যাংয়ের সদস্যদের বাড়িতেও থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। বলবন্ত বিহার পুলিসকে জানিয়েছে, সে কোথাও পাঁচ ঘণ্টার বেশি থাকেনি। শেরুর শাগরেদদের বাইক ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রামে ঘনঘন ডেরা বদল করত। এদিকে অপারেশনের পর পালানোর জন্য শ্যুটাররা যে বাইক ব্যবহার করেছিল, সেগুলি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এই গাড়িগুলির নম্বর প্লেট পাল্টানো হয়েছিল। বাইকগুলির ব্যবস্থা করেছিল নিশু। কার কাছ থেকে সে বাইক জোগাড় করেছিল, জানার চেষ্টা চলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন