পরপর তিনদিন অচল সংসদ, ‘অপারেশন সিন্দুর’ ইস্যুতে আলোচনা আগামী সপ্তাহে - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

পরপর তিনদিন অচল সংসদ, ‘অপারেশন সিন্দুর’ ইস্যুতে আলোচনা আগামী সপ্তাহে



নয়াদিল্লি: পরপর তিনদিন। অচল সংসদ। লোকসভা এবং রাজ্যসভা—উভয় ক঩ক্ষেই বুধবার তিন দফায় মুলতুবি। কখনও চলল দু মিনিট। কখনও আট মিনিট। সরকার এবং বিরোধী উভয়পক্ষের অনড় অবস্থানের জেরেই কাটছে না জট। বিরোধীদের দাবি, বিহারের এসআইআর ইস্যুতে আলোচনা করতে হবে। এবং এখনই। কিন্তু সরকার এসআইআর ইস্যুতে আলোচনা চায় না। তাই প্রতিবাদে সভার অন্দরে-রাইরে চলল প্রবল বিক্ষোভ। লোকসভার ওয়েল অর্ধ বৃত্তাকারে ঘিরে ফেলল বিরোধী সাংসদরা। তার আগে সকালে অধিবেশন শুরুর আগে মকর দ্বারের সামনে ধর্না। রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব, ডি রাজার পাশাপাশি দেখা গেল তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রতিবাদে পাশাপাশি দেখা গেল জয়া বচ্চন এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও। 

প্রতিবাদের পর রাহুল বললেন, ভোট চুরি হচ্ছে। আমরা মহারাষ্ট্রে তা ধরে ফেলেছি। আমি কমিশনকে তার প্রমাণ দিতে পারি। সাধারণভাবে জিততে পারবে না জেনেই নরেন্দ্র মোদির দল ভোট চুরি করে জিতছে। সূত্রে খবর, সোমবার থেকে সংসদ চলতে পারে। কাটতে পারে অচলাবস্থা। আলোচনা হবে অপারেশন সিন্দুর নিয়ে। সোমবার শুরু হবে লোকসভায়। মঙ্গলবার রাজ্যসভায়। সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধীদের অনুরোধ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ২৬ জুলাই বিদেশ থেকে ফেরার পরেই আলোচনা শুরু হোক। যদিও বিরোধীরা গোড়ায় আপত্তিই করে। তাদের দাবি, কেন বিলম্ব? বৃহস্পতিবার থেকেই আলোচনা হোক। কেন সময় নষ্ট? তৃণমূলের রাজ্যসভার ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, সরকারই যে সংসদ চালাতে চায় না, সেটাই বারবার প্রমাণ হচ্ছে। কেন বিদেশ গেলেন প্রধানমন্ত্রী? সংসদের চেয়েও বিদেশ বড়? লোকসভায় এই ইস্যুতে তৃণমূলের তরফে মূল বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন রা঩জ্যসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির (বিএসি) বৈঠকে সোচ্চার ছিলেন ডেরেক, জয়রাম রমেশ, সঞ্জয় সিংরা। রাজ্যসভার নেতা জে পি নাড্ডা এবং সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজুদের তাঁরা কোণঠাসা করেন। জগদীপ ধনকার ইস্তফার পর এদিনই প্রথম সরকার-বিরোধী মুখোমুখি হয়। জয়রাম কটাক্ষের সুরে বলেন, উপ রাষ্ট্রপতিকে বিদায়ী ভাষণ দেওয়ার সুযোগও দেওয়া হল না। আর এই মন্তব্যের পরেই ভঙ্গ হয়ে গেল বিএসি বৈঠক! 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...