বহরমপুর: বহরমপুরে দেশলাই চাওয়ার নাম করে বাড়িতে ঢুকে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম রাজ বিশ্বাস। নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বহরমপুর থানার পুলিস পকসো ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই নাবালিকাকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, সোমবার সকালে ওই নাবালিকার মা ও বাবা বাড়িতে ছিলেন না। তখন ওই যুবক দেশলাই চাওয়ার নাম করে নাবালিকার বাড়িতে ঢোকে। মেয়েটি ঘর থেকে বেরিয়ে তাকে দেশলাই দিতে যায়। অভিযোগ, তখনই ওই মেয়েটিকে জোর করে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় রাজ। এরপর প্রথমে নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। পরে তাকে ধর্ষণ করে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। নাবালিকার মা-বাবা ফিরে এলে মেয়েটি তাঁদের পুরো ঘটনার কথা জানায়। এরপরই নির্যাতিতার মা বহরমপুর থানার দ্বারস্থ হন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মহিলারা ওই যুবকের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাকে পাকড়াও করে। যুবককে ধরে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। পরে ওই মহিলারা পুলিস ডেকে রাজকে ধরিয়ে দেন।
বহরমপুর থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ বলেন, অভিযুক্ত যুবককে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। পকসো ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। নাবালিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই যুবককে আমরা বুধবার মুর্শিদাবাদ জেলার বিশেষ পকসো আদালতে পেশ করব।
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার গোপা হালদার বলেন, আমার ওয়ার্ডে একটা চূড়ান্ত অন্যায় হয়েছে। তারই প্রতিবাদে আমরা পথে নেমেছি। ওই যুবক এই মেয়েটির সঙ্গে অনেকদিন ধরে খারাপ আচরণ করে আসছে। এর আগেও ওই নাবালিকাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে অসভ্যতা করেছে। এদিন সকালে বাড়িতে ঢুকে মেয়েটির উপর নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনার কথা জানতে পেরেই আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাই। ওই যুবককে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমাদের দাবি, ওই যুবককে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। তার জন্য পুলিসের কাডে আমাদের আর্জি, সঠিকভাবে তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন