কলেজে ভর্তির আবেদনের সময় দশদিন বাড়িয়ে দিল, সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি মামলার শুনানি পিছল - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

কলেজে ভর্তির আবেদনের সময় দশদিন বাড়িয়ে দিল, সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি মামলার শুনানি পিছল


কলকাতা: রাজ্য সরকার আশায় ছিল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি মামলার ফয়সালা হবে। রায় যাই হোক, তা মেনে নিয়ে জেনারেল ডিগ্রি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করবে তারা। তবে, এদিন প্রধান বিচারপতি বিশেষ কারণে অনুপস্থিত থাকায় মামলার শুনানি হল না। ফলে মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আশা পূরণ না-হওয়ায় কলেজে ভর্তির কেন্দ্রীয় পোর্টালে আবেদনের সময়সীমা ১০দিন বাড়িয়ে দিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। ২৫ জুলাই পর্যন্ত স্নাতকে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। এমনিতে, মঙ্গলবারই ছিল আবেদনের শেষদিন। ২২ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে। ততদিন অবশ্য জয়েন্টের ফল প্রকাশ স্থগিতই রাখতে হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজাম বোর্ড।

এদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিন লক্ষ ৪৮ হাজার ২৯৪ জন ছাত্রছাত্রী কেন্দ্রীয় পোর্টালে আবেদন করেছেন। মোট আবেদনের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪৩৩টি। আবেদনকারীদের মধ্যে ৩,৭৮৭ জন ভিন রাজ্যের বাসিন্দাও রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও নিজেও তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি অবশ্য ওবিসি মামলার বিষয়টি লেখেননি। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই আবেদনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে, এর ফলে যে ইউজিসির নির্দেশ অনুযায়ী আগস্ট থেকে ক্লাস শুরু করা যাচ্ছে না, তা নিশ্চিত হয়ে গেল।

মেয়াদ বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্টের রায়ও উল্লেখ করা রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আইনি জটিলতা এড়াতেই এই পদক্ষেপ করেছে দপ্তর। তবে, শিক্ষামহলের একটি অংশের দাবি, অন্তত জয়েন্টের ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে আগের ওবিসি তালিকাই অনুসরণ করা হোক। না-হলে অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভর্তিতে। বিশেষ করে, বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেভাবে শর্তাধীন ভর্তি করে ক্লাস শুরু করে দিয়েছে, তাতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও বৈষম্য তৈরি হবে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...