আলিপুরদুয়ার: কলেজের দেওয়ালে অশ্লীল ছবি ও লেখা নিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে উঠল আলিপুরদুয়ারের সোনাপুর পীযূষকান্তি মুখোপাধ্যায় মহাবিদ্যালয়। অভিযোগ, পড়ুয়ারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে তিন দিন ধরে বলার পরেও ওই অশ্লীল লেখা ও ছবি দেওয়াল থেকে মুছে দেওয়া হয়নি। ওই ছবি ও লেখা মুছে দেওয়ার দাবিতে এবং কর্তৃপক্ষের এই গড়িমসির প্রতিবাদে এদিন কলেজের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। কলেজের প্রিন্সিপাল ও শিক্ষকদের দেড় ঘণ্টা কলেজের রুমে আটকে রাখেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত সোনাপুর ফাঁড়ি থেকে পুলিস আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিনই কলেজ কর্তৃপক্ষ দেওয়াল থেকে অশ্লীল লেখা ও ছবি মুছে দেয়।
সোনাপুর পীযূষকান্তি মুখোপাধ্যায় মহাবিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ চলছে সোনাপুর-হাসিমারা চিলাপাতা রাজ্য সড়কের দক্ষিণ চকোয়াখেতিতে। কলেজের পঠনপাঠন অস্থায়ীভাবে চলছে সোনাপুর বি কে হাইস্কুলের কয়েকটি রুমে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, অস্থায়ী কলেজের একটি রুমের দেওয়ালের পিছনে ওই অশ্লীল কথা লেখা হয়েছে। অশ্লীল ছবিও আঁকা হয়েছে। তিনদিন আগে পড়ুয়ারা ওই কথা ও ছবি মুছে দিতে কলেজের প্রিন্সিপালকে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তা মুছে না দেওয়ায় এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন কলেজের পড়ুয়ারা।
কলেজের এক ছাত্রী শুভ্রমিতা রায় বলেন, দাদাদের সঙ্গে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কলেজের দেওয়ালে ওই লেখা ও ছবি দেখলে লজ্জা লাগে। দেওয়ালের দিকে তাকানো যায় না। তিনদিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলার পরেও ওই নোংরা ছবি ও লেখা মুছে দেওয়া হয়নি। তাই আন্দোলনে যেতে আমরা বাধ্য হয়েছি। আর এক পড়ুয়া সম্রাট দে বলেন, ওই নোংরা লেখা ও ছবি দেখলে অস্বস্তি হয়। অথচ বার বার বলার পরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আন্দোলনে যেতে হয়েছে।
শিক্ষকদের দেড় ঘণ্টা আটকে রেখে পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভের কথা স্বীকার করেছেন পীযূষকান্তি মুখোপাধ্যায় মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল শঙ্করপ্রসাদ দে। তিনি বলেন, পড়ুয়াদের অভিযোগ ঠিক নয়। আসলে দেওয়ালের লেখা মুছে দিতে ও রং করার জন্য লোক মিলছিল না। তবে এদিনই লোক লাগিয়ে কলেজের দেওয়ালে ওই অশ্লীল ছবি ও কথা মুছে দেওয়া হয়েছে।
সোনাপুর ফাঁড়ির ওসি অমিত শর্মা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন