বোলপুর: স্কুল চত্বরে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিনিকেতন থানার বোলপুর শিক্ষানিকেতন আশ্রমকন্যা বিদ্যালয় চত্বরে। মৃত ছাত্রীর নাম অঞ্জলি বাস্কি(১৪)। সে ওই স্কুলেই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। তার বাড়ি বোলপুর থানার পারুলডাঙা সংলগ্ন বাগানপাড়া এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে স্কুলের পিছনের দিকে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিস মৃতদেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। আত্মহত্যা নাকি এই মৃত্যুর পিছনে কোনও রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ বোলপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অঞ্জলির মা মামনি বাস্কি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, মেয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অনেক রাত করে বাড়ি ফিরছিল। তার জন্য সোমবার রাতে ওকে একটু বকেছিলাম। এটাতেই ও হয়তো একটু অভিমান করেছিল। এরপর এদিন সকালে ওর জন্য ভাত রান্না করে রেখেছিলাম। শরীর খারাপ থাকায় স্কুলে যাবে না বলে। আমি বললাম ঠিক আছে। আজকের দিন একটু বিশ্রাম নিয়ে নে, কাল থেকে স্কুলে যাস। তারপরেই সে ঘর থেকে খালি হাতে বেরিয়ে যায়। যতদূর জানি, মেয়ে কারও সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু কার সঙ্গে ছিল, তা জানতে পারিনি। আমি ওকে বলেছিলাম, কাকে পছন্দ করিস বল, তার সঙ্গে বিয়ে দেব। কিন্তু আমার কথা সে শুনল না। আজ স্কুলের পেছনে ওর ঝুলন্ত দেহ দেখছি। কিন্তু কী করে এমন করল কিছু বুঝতে পারছি না। সবকিছু শেষ হয়ে গেল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লিপিকা সামন্ত বলেন, স্কুলে আসতেই পাড়া-প্রতিবেশীরা এই দুর্ঘটনার বিষয়ে খবর দেয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে শান্তিনিকেতন থানার পুলিসকে জানাই। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। খুব দুঃখজনক ঘটনা।
শান্তিনিকেতন থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, মেয়েটির প্রেমঘটিত কোনও সমস্যা ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরিবারও প্রেমের বিষয়টি স্বীকার করেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও সহপাঠীদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্কুলে সহপাঠী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন