জেলার ১২৩ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরানোর সিদ্ধান্ত - Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Breaking

Aaj Bikel News | Latest Bengali News Bangla News, বাংলা খবর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, তৃণমূল, বিজেপি খবর

Aaj Bikel is currently West Bengal's leading, popular, authentic and trustworthy digital media. Aaj Bikel News has become the voice of crores of readers and viewers.

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

জেলার ১২৩ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরানোর সিদ্ধান্ত



বহরমপুর: কোথাও মন্দিরের চাতালে, কোথাও ক্লাবের ঘরে অস্থায়ীভাবে চলছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। পড়ুয়াদের সুবিধার্থে নিজস্ব ভবন নেই এমন আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিকে নিকটবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিআইকে সেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় ১২৩টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর গ্রামীণ এলাকায় ১৩টি, বহরমপুর শহর এলাকায় ২৫টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া, ডোমকলের ২৪টি, জলঙ্গির ১৫টি, ফরাক্কার ৯টি, বড়ঞার তিনটি, কান্দির চারটি, খড়গ্রামের আটটি, ভগবানগোলা-১ ব্লকের ১৮টি এবং ভগবানগোলা-২ ব্লকে চারটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হবে। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির নিজস্ব ভবন নেই। এমনকী ভবন তৈরি করার মতো জমি বা সুযোগ নেই। এখন প্রাথমিকের পরিকাঠামোর মধ্যে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি কীভাবে চালানো সম্ভব তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় এই নির্দেশ পাওয়ার পর চিন্তায় রয়েছে। 

ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার ডঃ এশা ঘোষ বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সরানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যে সব এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন নেই, সেখানে তাদেরকেই স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে স্থানান্তরিত করা হবে। এটা অনেক জায়গাতে করা হয়েছে। নতুন কিছু নয়। 

তবে জেলার শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি এই প্রস্তাবে রাজি হবে কি না, সেটা দেখার। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিরও বেশ কিছু বাধ্য বাধকতা আছে। সেটা তারা অবশ্যই জানাচ্ছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র মানে তো শুধু পড়াশোনা নয়, সেখানে শিশুদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রাইমারির কিচেন ব্যবহার করতে হবে অনেক জায়গায়। সেটা নিয়েও জটিলতা হতে পারে। 

জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষক বলেন, সমস্ত জায়গায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো সমান নয়। তাই অনেকেই এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানাবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোতে ওই এলাকার আরও শিশুদের এনে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালানো অত সহজ হবে না। 

বহরমপুরের অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা বলেন, আইসিডিএস সেন্টারে ছেলেমেয়েদের পাঠাতে ইচ্ছে করেনা। সেন্টারের নিজেদের বাড়ি নেই। যদি পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে তো ভালোই হবে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Loading...