লাসা: মুখে বন্ধুত্বের বুলি আওড়ালেও ফের ‘বজ্জাতি’ শুরু করল চীন। এবার তাদের নজরে ব্রহ্মপুত্র নদ। অরুণাচলের গা ঘেঁষে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম এই নদীর উপরে বাঁধ নির্মাণ শুরু করল সেদেশের কমিউনিস্ট সরকার। প্রায় ১৬৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে তিব্বতে চীন এই বাঁধটি তৈরি করা হচ্ছে। গতকাল, শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সেই কাজ। এই বাঁধ তৈরি হয়ে গেলে ভবিষ্যতে তা ভারতের জন্য বড় বিপদ হয়ে উঠতে পারে। তখন ব্রহ্মপুত্র জলের নিয়ন্ত্রণ চীনের হাতে আসবে। সেইসঙ্গে বিপন্ন হবে বাস্তুতন্ত্র।
মূলত জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্রহ্মপুত্রের বুকে দানবীয় এই বাঁধ দিচ্ছে চীন। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা মোট পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করবে। যার মোট মোট উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াটের বেশি। এই বিদ্যুৎ বছরে ৩০ কোটি মানুষের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট।
গত ডিসেম্বরে ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের বাঁধ তৈরির ভাবনা কথা সামনে আসার পরে আন্তর্জাতিক স্তরে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা তীব্র আপত্তি তুলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। সেখানে এমন বৃহৎ প্রকল্প চূড়ান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্পে কোনওভাবে বাঁধ ভেঙে গেলে প্রলয় নামবে। ব্রহ্মপুত্রের উজানে চীনের বাঁধ তৈরির উদ্যোগে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারতের আধিকারিকদেরও। এর ফলে এই নদীর জলের নিয়ন্ত্রণ বেজিংয়ের হাত চলে যাওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তারা অসময়ে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়লে প্লাবিত হবে বিস্তীর্ণ এলাকা। যদিও দু’দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলি সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ভারত ও চীনের মধ্যে ইতিমধ্যে একটি মেকানিজম আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন