জলপাইগুড়ি: ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে গতকাল, বুধবার রাত থেকে তপ্ত জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। জানা গিয়েছে, গতকাল রাত আটটা নাগাদ পায়ে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন নান্টু দে সরকার নামে ৫২ বছরের এক ব্যক্তি। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পবিত্র নগর কলোনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। নান্টুবাবুর ছেলে নদাই দে সরকার বলেন, ‘বাবা হেঁটে হাসপাতালে ঢোকে। ইমারজেন্সিতে দেখানোর পর বাবাকে পাঁচতলায় সার্জারি বিভাগে ভর্তির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর থেকেই বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অসাড় হয়ে যায় পা। জিভ আড়ষ্ট হয়ে আসে। গা, হাত, পা শক্ত হয়ে যায়।’
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসককে ডাকার প্রায় ৪৫ মিনিট পর তিনি এসে পৌঁছন। রোগীকে দেখে মন্তব্য করেন, ‘এই রোগীকে তো মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করার কথা। সার্জারিতে নিয়ে আসা হল কেন?’ রোগীর বাড়ির লোকজনের দাবি, চিকিৎসক আসার পর নতুন করে অক্সিজেন, স্যালাইন দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়ার্ডে ইসিজির ব্যবস্থা করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। শেষমেশ ইসিজি করার পর চিকিৎসক জানিয়ে দেন, রোগী মারা গিয়েছেন। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিজনরা।
তাঁদের দাবি, যে রোগী পায়ে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এলেন। হেঁটে ওয়ার্ডে গেলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হতে পারে কীভাবে? এর উত্তর দিতে হবে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে। যদিও এনিয়ে এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন