বালুরঘাট: ছোটগাড়িতে লাগানো রয়েছে ডাক্তারের লোগো। সেই গাড়ি নিয়ে তিন হাজার বোতল কাফ সিরাপ পাচারের চেষ্টা! বালুরঘাট শহর থেকে বেরতেই ওই গাড়ির পিছু নেয় পুলিস। শহর সংলগ্ন রঘুনাথপুরে পুলিসকে দেখতে পেয়েই গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাড়া করে ডাক্তারের গাড়ির সামনে হাজির পুলিস। এরপর হাতেনাতে ধরে পড়ে গাড়ি চালক। পাচারে ব্যবহৃত ওই গাড়ি পুলিস দাবাং স্টাইলে ধরে ফেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে বালুরঘাট শহরে।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত চালকের নাম শামিম শেখ। বাড়ি কুমারগঞ্জের জয়দেবপুরে। সে বৃহস্পতিবার সকালে বালুরঘাটে এসেছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিপুল পরিমাণ কাফ সিরাপ ভিনজেলা থেকে বালুরঘাটে এসেছিল। সম্ভবত বাসস্যান্ড থেকে ওই কাফ সিরাফ ওই গাড়িতে তোলা হয়। প্রায় ১০ টি কার্টনে সিরাপগুলি ছিল। সেগুলি বালুরঘাট থেকে কুমারগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। পুলিস চালককে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে।
ওই গাড়িতে ডাক্তারের লোগো কেন? তদন্তকারীরা মনে করছেন, পুলিসের চোখে ধুলো দিতেই এই লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। ওই গাড়িটি কোনও চিকিৎসক ব্যবহার করতেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, গাড়ির নম্বর অনুযায়ী সঠিক মালিকের খোঁজ পাচ্ছে না পুলিস। নম্বর প্লেটটি ভুয়ো কিনা, তা জানতে গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ বৃহস্পতিবার বলেন, ওই গাড়িটি বালুরঘাট শহর থেকে পতিরামের উদ্দেশে যাচ্ছিল। বালুরঘাট থানার পুলিস তাড়া করে ধরে ফেলে। গাড়ি থেকে প্রায় তিন হাজার বোতল কাফ সিরাফ উদ্ধার করে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই কাফ সিরাপ বাংলাদেশে পাচারের পরিকল্পনা ছিল।
পুলিস সূত্রে খবর, বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে একজন চালক ওই গাড়িটিকে বালুরঘাট শহর থেকে বের করে আড়াই কিমি নিয়ে আসে। রঘুনাথপুরের আগে প্রথম চালক নেমে যায়। তারপর চালকের আসনে বসে শামিম এবং গাড়িটি কুমারগঞ্জের দিকে নিয়ে যায়। গন্তব্যে গাড়িটি পৌঁছে দিতে পারলে শামিমকে চার হাজার টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিস গাড়ি সহ চালককে পাকড়াও করে। এই গাড়িটিই পাকড়াও করে পুলিস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন