কলকাতা: চলতি বছর এখনও পর্যন্ত সেভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়নি কলকাতায়। গত বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও পরিস্থিতি দুশ্চিন্তার নয়। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, এবারও বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ ঠেকাতে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া হয়েছে। লাগাতার নোটিস ধরানো হয়েছে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের। সব মিলিয়ে এবারও এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা গিয়েছে মশাবাহিত রোগ সংক্রমণ। শহরবাসী সচেতন না হলে এই ধারাবাহিক সাফল্য মিলত না বলেই মনে করছেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্তারা। তবে জুনের শেষ থেকে চলতি মাসের এখনও পর্যন্ত ভালো পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক জায়গায় জল জমে থাকার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন শহরে। পুরকর্তাদের দাবি, সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক না হলেও যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে এবং জল জমছে, তাতে সংক্রমণবৃদ্ধির একটা আশঙ্কা থাকছেই।
এখনও পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পুরসভা সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের ৬ জুলাই পর্যন্ত শহরে ১২২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেখানে ২০২৫ সালের এই সময়কালে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪২ জনের কিছু বেশি মানুষ। তবে চলতি বছর জুনের শেষ সপ্তাহের তুলনায় জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এক লাফে ১১ জনের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন শহরে। এর জন্য মূলত বৃষ্টিকেই দায়ী করছেন পুর-স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, এখনও বর্ষা তিন মাস (জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর) চলবে। গতবারের তুলনায় এবার (জুন-জুলাই) প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ মিমি বৃষ্টি বেশি হয়েছে শহরে। এই অবস্থায় লাগাতার নজরদারির উপরেই জোর দিচ্ছে পুরসভা। ভেক্টর কন্ট্রোলের যাবতীয় কাজ জোরকদমে চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এক পুর-স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘গত বছর ৬ জুলাই পর্যন্ত শহরে যতজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন, বছর শেষে তা ১০ গুণ বেড়ে গিয়েছিল। তার আগের বছর শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ রীতিমতো পুরসভার মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেঠিল। কারণ, সেই বছর জুলাইয়ের তুলনায় বছর শেষে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছিল ৭৩ গুণ। এর থেকেই স্পষ্ট যে ভয় এখনও কাটেনি। গত বছর সন্তোষজনক অবস্থা ছিল বলেই যে এবছরও
তাই থাকবে, তেমন ভাবার কোনও কারণ নেই। তবে আমরা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার সবরকম চেষ্টা
চালিয়ে যাচ্ছি।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন